লোকে হাসবে শুনলে, কেউ করেছেন নিজের বিয়ের খরচ ৩ লাখে!




আমরা কী না বছরের পর বছর স্বপ্ন দেখি কতো সাজগোজ করে, বিশাল আড়ম্বরে ঠিক করবো বিয়ে। কেউ কেউ সংসার যাত্রার আগে বছরের পর বছর সঞ্চয়ও করে থাকেন বড়দিনটিকে স্মরণীয় করার জন্য। তবে কিছু কিছু লোক রয়েছেন আবার যারা ভীষণ সাধারণ ভাবেই বিয়েটাকে সেরে ফেলতে চান। বর্তমানে এমনই এক ব্যাপার ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গেছে, সদ্য বিয়ে হয়েছে তরুণী প্রীতির। তবে এই বিয়ের খরচ শুনলে হাসবেন নিশ্চয়ই। মাত্র ৩ লাখ টাকায় সেরে ফেলেছেন সারা আয়োজন!

সাধারণত বিয়েতেই দুই থেকে তিন লাখ টাকা খরচ হয়ে যায় পোশাক-আশাক, আলংকার, খানাপিনা-সহ আরও কত কী-তে। তবে এই বছরের জানুয়ারি মাসে বিয়ে করলেন প্রীতি এবং সৌম্য। কিন্তু তাদের তো খরচ হল মাত্র ৩ লাখ টাকা!

আসলে তাদের এই সাশ্রয়ী বিয়েটি খুব ভালোভাবেই প্ল্যান করা ছিল। প্রীতির বাড়ির ঠিক পাশেই হলের ব্যবস্থা ছিল। আর সৌম্যের বাড়িতে হল না থাকায় তাদের মধুচন্দ্রিমায় খরচ করার জন্য প্রায় লাখ দুয়েক টাকা সঞ্চয়ও হয়েছিল। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, বিয়েটা সেরে ফেলা হবে হলের বাড়িতেই।

পোশাক-আশাক

সেইমতো প্রীতি রেডিমেড শাড়িই বেছে নেন। আর সৌম্য তো বহুদিনের পোশাকেই বিয়ে সেরে ফেলেন।

আলংকার

প্রীতির শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে রুপোর গয়না পরেন। যার খরচ মাত্র কয়েক হাজার টাকা। সৌম্যকেও অলঙ্কারের জন্য খরচ করতে হয়নি।

খানাপিনা

খানাপিনার খরচ কমাতে বাড়ির পাশেই ক্যাটারিং সার্ভিসে অর্ডার দেন তারা। তবে অতিথিদের সংখ্যা কিছুটা কম রাখা হয়েছিল।

ট্রাভেল

বিয়েতে কাউকে বিশেষ গাড়িতে ডেকে আনার প্রয়োজন হয়নি। তাই ট্রাভেলের খরচও বাঁচে।

এইভাবেই তাদের বিয়েতে খরচ হয়েছে মাত্র ৩ লাখ টাকা। তারও বেশ কিছুটা টাকা বাঁচে মধুচন্দ্রিমা এবং ভবিষ্যতের জন্য।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের স্বপ্ন কি ভেঙেছে? না, মোটেও নয়। মানুষের চোখে মুখে সোশ্যাল স্টেটাস দেখানোর জন্য কেন বিশাল সাড়ম্বরে বিয়ে করা দরকার! জীবনভর সঙ্গে থাকবে, সেই মানুষটিকে সাজিয়ে গুছিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার কি প্রয়োজন? এর থেকে বরং সংসারের জন্য কিছু টাকা জমিয়ে রাখলে ভালো নয় কি?