লন্ডনের অলিম্পিকে আনন্দ বিস্ফোরণের সঙ্গীতশিল্পী আর্শাদ নাদিম




আমি সর্বদা নিজেকে এমন একজন হিসাবে দেখেছি যার মধ্যে অলিম্পিকের আত্মা আছে। আমি কখনও ভাবিনি যে আমি এত বড় একটি মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব, তবে যখন আমার সুযোগ এল, তখন আমি এটি দু'হাতে আঁকড়ে নিলাম।
অলিম্পিক লন্ডনে হওয়ার কথা ছিল এবং আমি জানতাম এটা আমার জন্য মূহুর্তের পর মূহুর্ত হবে। অনুশীলনের মাঠে, আমি নিজেকে অন্য প্রতিযোগীদের তুলনা করছিলাম, এবং আমার মনে হয়েছিল যে আমি ভালো করতে পারি। তবে, যখন খেলা শুরু হল, তখন স্নায়ুরা আমাকে কাবু করে ফেলল।
আমি আমার প্রথম থ্রোতে ফাউল করলাম এবং আমার দ্বিতীয় থ্রোতেও তেমন ভালো করতে পারলাম না। আমি চাপের মধ্যে পরে গেলাম এবং আমার মনে হচ্ছিল আমার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তারপর, আমার কোচ আমার কাছে এসে বললেন, "আর্শাদ, এখনও হাল ছাড়ো না। তোমার মধ্যে এটা করার সক্ষমতা আছে।"
আমি তার কথা শুনলাম এবং আমার শেষ থ্রোর জন্য প্রস্তুত হলাম। আমি গভীর শ্বাস নিলাম এবং ডিসকাস ছুড়লাম। মাঠে একটা করতালি বেজে উঠল, এবং যখন আমি স্কোরবোর্ডে তাকালাম, তখন আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে আমি পদক জিতেছি।
পদক জেতা আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে আমি যা স্বপ্ন দেখেছিলাম তা আমি করে দেখিয়েছি। আমি প্রমাণ করেছি যে আমি সেরা প্রতিযোগীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি এবং আমি তা একা করেছি।
অলিম্পিকে আমার অভিজ্ঞতা আমার জীবনের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতাগুলির মধ্যে একটি। এটা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে এবং আমাকে একজন ব্যক্তি হিসাবে বড় হতে সাহায্য করেছে। আমি চিরকাল সেই দিনের কথা মনে রাখব যখন আমি স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে তাদের উল্লাস শুনেছিলাম, এবং আমি চিরকাল আমার পদকটি জলের মতো রক্ষা করব।