প্রস্তাবনা
হে মুম্বাইবাসী, শুরু হয়ে গেল হিসেবি মাস! আর হিসেবি মাস মানেই পুজোর মরশুম। আর পুজোর মরশুম মানেই লালবাউগচা রাজা! মুম্বাই শহরবাসীর আস্থার প্রতীক, শহরবাসীর আর আরাধ্য 'লালবাউগচা রাজা'র সেবায় এবারও নিজেকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত হওয়া উচিত।লালবাউগচা রাজা: শ্রদ্ধার কেন্দ্র
লালবাউগচা রাজা আর তার সেবায় আত্মনিয়োগ করার ইতিহাসটা কিন্তু নেহাতই সাম্প্রতিক নয়। প্রায় দেড়শো বছর ধরে চলে আসছে এই প্রথা। মুম্বাই শহরের যত মন্দির আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিশিষ্ট হল লালবাউগের গণেশ মন্দির। এটি আরাধ্য 'লালবাউগচা রাজা'র পবিত্র বাসস্থান।লালবাউগচা রাজা: আহবান ও বিসর্জন
লালবাউগচা রাজার আরাধনা শুরু হয় অনন্ত চতুর্দশী তিথিতে। এই দিনটিতে মাটির গণেশ মূর্তি এনে বাড়িতে বা প্যান্ডেলে স্থাপন করা হয় এবং পূজার আয়োজন করা হয়। এই পূজা চলে চতুর্থীর দিন থেকে পরের দশমী তিথি পর্যন্ত। তারপর আসে বিসর্জনের দিন। বিসর্জন হয় পূর্ণিমায়।লালবাউগচা রাজা: প্রার্থনার স্থান
কথিত আছে যে মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য লালবাউগচা রাজার কাছে প্রার্থনা করলে সেই প্রার্থনা অবশ্যই পূর্ণ হয়। তাই দশমীতে ভক্তদের আনাগোনা কম থাকে না। লালবাউগচা রাজাকে নিয়ে ভক্তদের আস্থা অটল। তাই তাদের বিশ্বাস, লালবাউগচা রাজার কাছে প্রার্থনা করলে তা কখনই ফাঁকা যায় না।লালবাউগচা রাজা: ভোগ ও প্রসাদ
লালবাউগচা রাজাকে একাধিকবার ভোগ দেওয়া হয়। ভোগে মোদক, লাড্ডু, ফল, মিষ্টি প্রভৃতি থাকে। ভোগ দিয়ে রাজাকে যেমন সন্তুষ্ট রাখা হয়, তেমনি ভোগ পেয়ে ভক্তরাও পুলকিত হন। পূজার শেষ দিনে, বিসর্জনের আগে বিরাট প্রসাদ বিতরণ করা হয়। ভক্তরা হাজার হাজার সংখ্যায় এসে প্রসাদ গ্রহণ করেন।লালবাউগচা রাজা: মহানগরবাসীর আস্থার প্রতীক
লালবাউগচা রাজা মুম্বাই শহরবাসীর আস্থার প্রতীক। মুম্বাই শহরের যত রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উত্থান-পতন দেখেছে লালবাউগচা রাজা। তাই লালবাউগচা রাজাকে মুম্বাই শহরের রক্ষাকবচ হিসেবেও দেখা হয়।লালবাউগচা রাজা: ভক্তির মহাসমুদ্র
লালবাউগচা রাজার পূজা মানে পবিত্র ভক্তির মহাসমুদ্র। দশমীতে লক্ষ লক্ষ ভক্ত লালবাউগচা রাজার দর্শন লাভ করেন। সারা রাত ধরে তারা পুণ্য লোকগীতি গায়, নাচ-গান করে। এই সময়টা মুম্বাই শহরে উৎসবের মতোই উদযাপিত হয়।লালবাউগচা রাজা: দুঃখীর ভরসা
লালবাউগচা রাজাকে দুঃখীর ভরসাও বলা হয়। এই মন্দিরে প্রতিদিন অসংখ্য দুঃখী-দুর্দশাগ্রস্ত মানুষ আসে। তাদের মনস্কামনা পূরণের জন্য প্রার্থনা করে। আর লালবাউগচা রাজাও প্রার্থনা শোনেন, মনস্কামনা পূর্ণ করেন।উপসংহার
লালবাউগচা রাজার পূজা হল মুম্বাই শহরবাসীর জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতা। এই পূজার আয়োজন দেখে মন ভরে যায়। লালবাউগচা রাজা শুধু একটি মূর্তি নয়, তিনি মুম্বাই শহরবাসীর আস্থা, ভক্তি ও শ্রদ্ধার প্রতীক। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে এই বছরও লালবাউগচা রাজার পূজা উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করি। লালবাউগচা রাজা কি জয়!