শক এবং দুঃখে ডুবেছে বিজেপি পরিবার, সদ্য মারা গেলেন দেবেন্দ্র সিং রানা
বিজেপি পরিবার আজ শোকে ডুবেছে। দলের প্রবীণ নেতা ও জম্মু-কাশ্মীরের নাগরোটা থেকে বিধায়ক দেবেন্দ্র সিং রানা আর নেই। গতকাল (৩১ অক্টোবর) সকালেই হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৯ বছর। দেবেন্দ্র সিং রানার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে একাধিক রাজনীতিবিদ।
দেবেন্দ্র সিং রানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এর ভাই ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে গোপনে হারিয়ানার ফরিদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তবে বৃহস্পতিবার সকালেই হার্ট অ্যাটাকে হঠাৎ তাঁর মৃত্যু হয়।
২০১৪ থেকে বিজেপি নেতা হিসেবে রাজনীতি শুরু করেছিলেন দেবেন্দ্র সিং রানা। এর আগে তিনি ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সদস্য। তবে কয়েকবছর আগে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পেয়েছিলেন রানা। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দলের ওপর।
রানার মৃতদেহ দিল্লি থেকে শনিবার এয়ারলিফট করে জম্মু নিয়ে আসা হবে। এরপর তাঁর শেষকৃত্য সম্পাদন করা হবে। তাঁর মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীর বিজেপির প্রধান রবিন্দর রায়না রানার মৃত্যুকে "অপূরণীয় ক্ষতি" বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, "তিনি একজন প্রিয় নেতা এবং সমর্পিত সৈনিক ছিলেন। তাঁর মৃত্যু দলের জন্য একটি বড় ক্ষতি।"
রানার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি টুইট করে বলেছেন, "দেবেন্দ্র সিং রানার অকাল মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নেতা ছিলেন। তাঁর পরিবার ও সমর্থকদের প্রতি আমার heartfelt সমবেদনা। ওঁ শান্তি।"
প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুও রানার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, "দেবেন্দ্র সিং রানার মৃত্যুর খবর শুনে গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি একজন সম্মানিত জনপ্রতিনিধি এবং জনগণের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। তাঁর কাজের জন্য তাঁকে অনেকদিন মনে রাখা হবে।"
রানার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক জগতের একাধিক নেতা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
রানার মৃত্যুতে জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধাক্কা লাগতে চলেছে। কারণ তিনি বিজেপির একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর ফলে বিজেপির জম্মু-কাশ্মীরে রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপরও প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।