বুঝতে হবে, মিশরীয় সমাজে পুরুষেরা করমুক্ত ছিলেন কিন্তু মহিলাদের উপর নানা নিয়ম নিষেধ ছিল। মিশরীয় সমাজে নিম্নবর্গের নারীদের অবস্থা ছিল খুবই করুণ। তারা যখন বিবাহ করত তখন সম্পূর্ণভাবে তার স্বামীর অধীন হয়ে যেত। বিত্তবানদের স্ত্রীরাও স্বাধীনতাহীন ছিল এবং কেবলমাত্র তাদের বাড়ির কাজকর্মের দায়িত্বে নিযুক্ত থাকত।
সমাজে মহিলাদের অধিকার নিয়ে সেখমেত প্রতিষ্ঠা
এমন সময়ে জন্ম নেয় মহিলাদের অধিকার নিয়ে একটি ক্লাব সেখমেত। এটি তৈরি হয় ১৮৭৬ সালে। মিশরে নারীদের অধিকার ও স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সত্ত্বেও এটি কোনো রাজনৈতিক সংগঠন ছিল না।
সেখমেত ক্লাবের স্থাপনা
মিশরের প্রথম প্রকাশিত লিখিত সাময়িকী আল মোতাফেক্কিন এর সহযোগী সম্পাদক হোসনি হাবিব নানাভাবে মহিলাদের অধিকারের উপর জোর দিতেন। অনেক সমালোচনা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও তিনি মহিলাদের উচ্চ শিক্ষার সপক্ষেও মত দিয়েছিলেন। তিনি সেখমেত ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম ছিলেন।
সেখমেত ক্লাবের কাজ
সেখমেত ক্লাব মহিলাদের অধিকার, স্বাধীনতা এবং শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিত। ক্লাবটি বিশ্বাস করত যে, মহিলারাও পুরুষের মতোই শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে সুযোগ পাওয়ার দাবিদার।
সেখমেত ক্লাবের অবদান
সেখমেত ক্লাব মিশরে মহিলাদের অধিকার এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্লাবের কার্যকলাপের ফলে মিশরীয় মহিলারা শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র এবং রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হতে শুরু করেন।
সেখমেত ক্লাবের অবদানের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো, তারা মিশরে মহিলাদের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য প্রচারণা চালিয়েছিল। তাদের প্রচেষ্টার ফলে ১৯৫৬ সালে মিশরে মহিলাদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়।
সেখমেত ক্লাবের আদর্শ আজও মিশরের নারীবাদী আন্দোলনকে প্রভাবিত করছে। ক্লাবটি মিশরীয় মহিলাদের অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে আজও স্মরণ করা হয়।