আমি জন্মেছিলাম এক পরিবারে যেখানে রাজনীতি অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল। আমার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। অতএব, রাজনীতি আমার রক্তে গভীরভাবে প্রবেশ করেছিল।
শিশুকালে, আমি প্রায়শই আমার পিতাকে রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িত দেখতাম। আমি শুনতাম তাদের দেশ এবং জনগণের উন্নতির দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে কথা বলতে। এই আলোচনাগুলো আমার মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে রাজনীতি শুধুমাত্র ক্ষমতার খেলা নয়, বরং জনগণের জীবন পরিবর্তন করার একটি সরঞ্জামও।
বয়ঃস বাড়ার সাথে সাথে আমার রাজনৈতিক চেতনা আরও শক্তিশালী হল। আমি দেখলাম আমার দেশ কত দারিদ্রতা, অনুন্নয়ন এবং অবিচারে ভুগছে। আমি জানতাম যে আমাকে কিছু করতে হবে, কিন্তু কীভাবে তা করব তা বুঝতে পারছিলাম না।
একদিন, আমার পিতা আমাকে বললেন, "হাসিনা, তুমি যদি মানুষকে সাহায্য করতে চাও, তাহলে তোমাকে রাজনীতিতে প্রবেশ করতে হবে।" আমি কিছুটা অনিশ্চিত ছিলাম, কিন্তু আমি জানতাম তিনি ঠিক কথা বলছেন। তাই আমি ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিলাম।
রাজনীতিতে আমার যাত্রা সহজ ছিল না। আমাকে বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে, কিন্তু আমি কখনই হাল ছেড়ে দেইনি। আমি বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশকে উন্নত এবং সমৃদ্ধ একটি দেশে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
আমি আমার জনগণের জন্য কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় কৃতজ্ঞ। আমি জানি এখনও অনেক কাজ বাকি আছে, কিন্তু আমি নিশ্চিত যে একসাথে আমরা বাংলাদেশকে একটি আরও ভালো জায়গা বানাতে পারি।
আমাদের দেশের জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আসুন আমরা হাতে হাত রেখে আমাদের দেশকে উন্নত এবং সমৃদ্ধ একটি জায়গায় পরিণত করি।