আইয়ুবের ক্রিকেট প্রতিভার প্রথম ঝলক মেলে ২০১৮ সালে, যখন তিনি পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন। তাঁর ব্যাটিংয়ের মূলমন্ত্র হলো আক্রমণ করা এবং আকর্ষণ তৈরি করা, যা এই প্রতিযোগিতায় তিনি প্রদর্শন করেছিলেন, তিনটি অর্ধ-শতকের সাহায্যে ২০০-র বেশি রান তুলে ব্যাটিংয়ে দলকে নেতৃত্ব দেন।
আইয়ুবের যাত্রা আরও ত্বরান্বিত হয় ২০২১ সালে, যখন তিনি পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অভিষেক করেন। কুয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলতে নামা এই তরুণ খেলোয়াড়কে প্রথম ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ দেয়, যখন তিনি দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলে ১৪ রানে ১১২ রানের পিছুটানে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। এই ইনিংসটি পিএসএলের ইতিহাসে সেরা ইনিংসের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পিএসএলের সাফল্যের পর, আইয়ুব পাকিস্তান দলে ডাক পান। তিনি ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে অভিষেক করেন এবং প্রথম ম্যাচেই ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ নেন। তিনি তিনটি ম্যাচে ৮৯ রান সংগ্রহ করে টুর্নামেন্ট শেষ করেন, যা ক্রিকেট বিশ্বের নজর কাড়ে।
আরো গুরুত্বপূর্ণভাবে, আইয়ুব বিশ্বকাপের মূল দলেও নিজের স্থান দৃঢ় করেন, যেখানে তিনি তিনটি ম্যাচে দুটি অর্ধ-শতক সহ মোট ১২৫ রান তোলেন। বিশ্বকাপে তাঁর সেরা ইনিংসটি আসে ভারতের বিরুদ্ধে, যেখানে তিনি ৬৮ বলের প্রতিযোগিতামূলক ৮৫ রান করেন এবং পাকিস্তানকে একটি স্মরণীয় জয় এনে দেন।
সাইম আইয়ুবের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ভার হলো তাঁর একাগ্রতা এবং মাঠে শান্ত থাকার ক্ষমতা। তিনি বিপক্ষ দলের তাত্পর্যহীন বলগুলোকে প্রতিহত করতে জানেন এবং যখন সুযোগ আসে তখন আক্রমণ করতে ভয় পান না। তাঁর শক্তিশালী ড্রাইভ এবং পুল শট তাঁর ব্যাটিং আর্সেনালের কিছু বিখ্যাত শট।
যদিও আইয়ুবের ক্যারিয়ার এখনও শুরুর দিকে রয়েছে, তবে তিনি ইতিমধ্যেই ক্রিকেট বিশ্বে তাঁর প্রতিভার জানান দিয়েছেন। তাঁর ভক্তরা আশা করছেন যে তিনি আগামী বছরগুলিতে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটিংম্যান হিসাবে আবির্ভূত হবেন এবং বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের ল্যান্ডস্কেপে তাঁর নিজের একটি বিশেষ জায়গা তৈরি করবেন।
তাই সাইম আইয়ুবের উত্থানের সাক্ষী থাকুন, একজন তরুণ খেলোয়াড় যিনি ক্রিকেট বিশ্বে ঝড় তুলতে এসেছেন। তিনি নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের সুপারস্টার এবং আগামী বছরগুলিতে তাঁর কাছ থেকে আরও অনেক দুর্দান্ত ইনিংসের অপেক্ষায় রয়েছে ক্রিকেট ভক্তরা।