শিবসেনা ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে




মুম্বই: শিবসেনা নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের জল্পনা ফুঁসছে, যা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, শিবসেনা নেতা সুপ্রিয়া সুলের একটি বড় ঘোষণা দিতে পারেন, যা সরকারকে বড় ধাক্কা দিতে পারে। সোমবার হওয়া বৈঠকে সুলের বক্তৃতা শিবসেনার মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, যখন কংগ্রেস এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস দল (এনসিপি) সহ মিত্ররা সরকারের দুর্বল স্থিতিশীলতা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করছে।
শিবসেনা সূত্র জানিয়েছে, সুলে দুটি প্রধান দাবি তুলতে পারেন। প্রথম, তিনি জোর দিতে পারেন যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে জোট ভেঙে পড়ার জন্য অনুরোধ করা হবে। দ্বিতীয়ত, তিনি পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিতে পারেন। শিবসেনা সূত্র জানিয়েছে, দলটি বিজেপির সাথে জোট ভেঙে এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
যদিও শিবসেনা এই দাবিগুলি অস্বীকার করেছে, কিন্তু সূত্র বলছে, দলের নেতৃত্বের একটি বড় অংশ এটির পক্ষে। তারা মনে করেন যে বিজেপির সঙ্গে জোট থাকা শিবসেনার জন্য আর লাভজনক নয়। বিজেপি শিবসেনাকে নানাভাবে অবজ্ঞা করছে, যা দলের কর্মী ও নেতাদের কাছে ক্রমশ আরও অসহনীয় হয়ে উঠছে।
এদিকে, বিজেপি এই দাবি নিয়ে নিশ্চিত নয়। দলের এক নেতা জানিয়েছেন, তারা শিবসেনার সঙ্গে জোট অব্যাহত রাখতে আগ্রহী। যদিও দলটি সন্ধানে রয়েছে, তবে শিবসেনা যদি জোট ভেঙে দেয়, তবে তারা ক্ষমতা দখলের সুযোগ নিতেও দ্বিধা করবে না।
যদি শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে ফেলে, তবে এটি মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধাক্কা হবে। কংগ্রেস এবং এনসিপি দুজনেই শিবসেনার সঙ্গে জোট বাঁধার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। যদিও এটা দেখার বিষয় যে কি মহারাষ্ট্রের ভোটার এটাকে সমর্থন করবে কিনা।
মহারাষ্ট্রের জন্য অর্থ কি?
যদি শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে ফেলে, তবে এটি মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধাক্কা হবে। কংগ্রেস এবং এনসিপি দুজনেই শিবসেনার সঙ্গে জোট বাঁধার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। যদিও এটা দেখার বিষয় যে কি মহারাষ্ট্রের ভোটার এটাকে সমর্থন করবে কিনা।
একটি নতুন জোট সরকার গঠনের জন্য শিবসেনার কাছে নিজেদের সংখ্যা প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি সাম্প্রতিক রায় অনুযায়ী, ফ্লোর টেস্টের আগে দলত্যাগী বিধায়কদের ভোট গণনা করা হবে না। এটি শিবসেনাকে একটি নতুন জোট সরকার গঠন করা আরও কঠিন করে তুলবে।
যদি শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে একটি নতুন সরকার গঠন করতে না পারে, তাহলে রাজ্যে মধ্যবর্তী নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা মহারাষ্ট্রের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে, যা ইতিমধ্যেই কোভিড-19 মহামারী এবং অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভারতের জন্য অর্থ কি?
মহারাষ্ট্র ভারতের একটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। এটা দেশের অর্থনীতি এবং রাজনীতিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। মহারাষ্ট্রে একটি নতুন সরকার গঠন ভারতের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপকে প্রভাবিত করতে পারে।
যদি শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট বাঁধে, তাহলে এটা বিজেপির জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে। এটি দেখাবে যে বিজেপির অপরাজেয়তা ভেঙে পড়েছে এবং এটি বিরোধী দলগুলিকে উৎসাহিত করবে।
দেশের অন্যান্য রাজ্যের জন্য মহারাষ্ট্রের ঘটনাবলীও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এটি দেখাতে পারে যে বিজেপি-বিরোধী জোটগুলি ভবিষ্যতের নির্বাচনে সফল হতে পারে। এটি বিজেপিকে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে বাধ্য করতে পারে এবং দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে পারে।