আজ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অতি পবিত্র দিন সুক্রবার। এটি খ্রিস্টান ধর্মে অন্যতম অতি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যা যীশু খ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার স্মরণে পালন করা হয়।
এর ইতিহাসইতিহাসবিদরা বিশ্বাস করেন যে, রোমান গভর্নর পন্টিয়াস পাইলেট যীশু খ্রিস্টকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে আজকের দিনেই ক্রুশে বিদ্ধ করেছিলেন। যীশুকে ক্রুশে বিদ্ধ করার পেছনে কারণ ছিল এটি, রোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যীশুর বিদ্রোহী কার্যকলাপ।
সুক্রবারের তাৎপর্যখ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন যে, যীশুর মৃত্যু মানুষের পাপের প্রায়শ্চিত্ত ছিল এবং তাঁর পুনরুত্থান আশা এবং নতুন জীবনের প্রতীক। সুতরাং, সুক্রবার খ্রিস্টানদের জন্য আত্মশুদ্ধি এবং নবায়নের দিন।
এই দিনে খ্রিস্টানরা প্রার্থনা, উপবাস এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যীশুর মৃত্যুর স্মরণ করেন। কিছু খ্রিস্টান গির্জায় সুক্রবারে বিশেষ সার্ভিস অনুষ্ঠিত হয়, যা যীশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি পুনর্নির্মাণ করে।
বাংলাদেশে সুক্রবার উদযাপনবাংলাদেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও, সুক্রবার এখানে একটি পবিত্র দিন হিসাবে পালন করা হয়। এদিন খ্রিস্টানরা বিভিন্ন গির্জায় উপস্থিত হয়ে যীশুর মৃত্যুর স্মরণ করেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন গির্জায় সুক্রবারে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিছু গির্জায় সকালে বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়, যা যীশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটির স্মরণ করিয়ে দেয়। আবার কিছু গির্জায় সন্ধ্যায় বিশেষ গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যা যীশুর মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের উদযাপন করে।
সুক্রবারের বার্তাসুক্রবার শুধুমাত্র খ্রিস্টানদের জন্য নয়, সকল মানুষের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এটি আমাদের যীশুর উত্সর্গ এবং ভালবাসার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এটি আমাদের সকলকে ভালবাসা, করুণা এবং ক্ষমার গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
তাই, এই শুভ সুক্রবারে, আসুন আমরা সকলে যীশুর উদাহরণকে অনুসরণ করি এবং আমাদের জীবনে ভালবাসা, করুণা এবং ক্ষমার গুণাবলীকে অনুসরণ করি।