শারদীয় নবরাত্রির তৃতীয় দিন
শারদীয় দূর্গাপূজা হিন্দুদের একটি অন্যতম প্রধান উৎসব। নবরাত্রের পূজা শুরুর ঠিক আগের দিন দুর্গা দেবীর আগমন হয়। নয়দিনব্যাপী এই পূজায় প্রতিদিন ভক্তরা পূজা করেন দুর্গার নয় রূপের। নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পূজা হয় দেবী চন্দ্রঘন্টার। তাকে শক্তি ও সাহসের দেবী মনে করা হয়।
কিংবদন্তি
কথিত আছে, মহিষাসুর নামের একটি অসুর স্বর্গ জয় করে অমরত্ব লাভ করেছিল। দেবতারা এই অসুরের অত্যাচারে বিপন্ন হয়ে দুর্গার কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। দুর্গা মহিষাসুরের সঙ্গে ঘোরতর যুদ্ধে লিপ্ত হন। সেই সময় দেবীর কপালে ঘণ্টার আওয়াজের মতো শব্দ হয়েছিল। এই কারণে দেবীর নাম হয় চন্দ্রঘণ্টা।
পূজা পদ্ধতি
* চন্দ্রঘণ্টার পূজার জন্য একটি লাল রঙের কাপড় বিছানো হয়।
* কলাপাতার ওপর দেবীর মূর্তি বা ছবি রাখা হয়।
* দেবীর মূর্তির সামনে পঞ্চপল্লব ও বিশেষ একটি ঘট স্থাপন করা হয়।
* ধুপ, দীপ, ফুল, বাচ্চা কলা ও মিষ্টি দিয়ে দেবীর পূজা করা হয়।
* চন্দ্রঘণ্টা মন্ত্র পাঠ করা হয়।
মন্ত্র
ওং চন্দ্রঘণ্টায়ৈ বিদমহে
ক্ষিপ্রপ্রসাদিন্যৈ ধীমহি
তন্নো দেবী প্রচোদয়াত্
তুষ্টির বস্তু
চন্দ্রঘণ্টাকে খুশি করার জন্য লাল ফুল, হরিদ্রা, কলা ও ঘি নিবেদন করা হয়।
রং
নবরাত্রির তৃতীয় দিনের রং হল লাল।
তারতম্য
নবরাত্রির তৃতীয় দিনের বিশেষত্ব হল, এই দিনে দেবীর মূর্তির দুই পাশে দুটি সিংহের প্রতিকৃতি রাখা হয়। এটি দেবীর শক্তি ও সাহসের প্রতীক।
কথন
বলা হয়, চন্দ্রঘণ্টার পূজা করলে ভক্তদের শত্রুর ভয় কাটে। সাহস ও বল বৃদ্ধি পায়। জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।