শিরোনাম: ভারতে সর্বনিম্ন বেতন নয়, দরকার বেঁচে থাকার মজুরি




ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থায় সাম্প্রতিককালে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। দেশের জিডিপি বেড়েছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার মান বেড়েছে কি? দুর্ভাগ্যবশত, উত্তরটি না। বেশিরভাগ ভারতীয় এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবনযাপন করছেন।

একটি প্রধান কারণ সর্বনিম্ন বেতনের কম হার। ভারতে সর্বনিম্ন বেতন প্রতিদিন মাত্র 176 রুপি। এটি দিয়ে একটি পরিবারকে ঠিকমতো খাওয়ানো, থাকানো, পড়ানো এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ানো সম্ভব নয়।

সরকার প্রায়ই সর্বনিম্ন বেতন বাড়ানোর কথা বলে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতিগুলি সাধারণত পূরণ হয় না। এ কারণে শ্রমিক সংগঠনগুলি এবং কর্মীরা বিক্ষোভ করছে এবং বেঁচে থাকার মজুরি দাবি করছে।

বেঁচে থাকার মজুরি এমন একটি মজুরি যা একটি পরিবারকে তার সকল মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম করে। এটি শুধুমাত্র খাদ্য, আবাসন এবং পোশাকই নয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবহনও অন্তর্ভুক্ত করে।

ভারতে বেঁচে থাকার মজুরির হার রাজ্য ভেদে ভিন্ন। তবে, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের মতে, শহুরে এলাকায় বেঁচে থাকার মজুরির হার হওয়া উচিত প্রতিদিন 375 রুপি এবং গ্রামীণ এলাকায় প্রতিদিন 293 রুপি।

সরকারের উচিত বেঁচে থাকার মজুরি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া। এটি করার একটি উপায় হল সর্বনিম্ন বেতন বাড়ানো। সরকারকে আরও নিশ্চিত করতে হবে যে সকল শ্রমিক সর্বনিম্ন বেতন পাচ্ছে।

বেঁচে থাকার মজুরি নিশ্চিত করা ভারতের শ্রমিকদের জন্য একটি জীবন রক্ষাকারী পদক্ষেপ হবে। এটি দারিদ্র্যতা এবং অসমতা কমানো এবং সকল ভারতীয়র জন্য জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।

আপনি কী করতে পারেন?

  • ব্যবসা এবং সংস্থাগুলিকে বেঁচে থাকার মজুরি দেওয়ার আহ্বান জানান।
  • বেঁচে থাকার মজুরি নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে চাপ দিন।
  • বেঁচে থাকার মজুরির গুরুত্ব সম্পর্কে অন্যদের শিক্ষিত করুন।

একসাথে, আমরা ভারতে বেঁচে থাকার মজুরি নিশ্চিত করতে পারি।