শ্রীরাম নবমী শুভেচ্ছা!
হে রাম, হে রাম, জয় রাম, জয় রাম!
আজ চারিদিকে উৎসবের আনন্দ, আজ সকল প্রানের আরাধন। আজ শ্রী রাম নবমীর শুভ তিথি। আজ এই বিশ্বে অবতীর্ণ হয়েছিলেন মেরুর সমান উচ্চতা, হিমালয়ের সমান স্থিরতা, সূর্যের সমান তেজ, চন্দ্রের সমান ঠান্ডক এবং সমুদ্রের সমান গভীরতা সম্পন্ন হয়েছিলেন ভগবান রামচন্দ্র।
রামচন্দ্রের জন্ম এই পৃথিবীর জন্য ছিল এক বিরাট ঘটনা। তিনি ছিলেন মেরি আদা'র রাজা দশরথের জ্যেষ্ঠ পুত্র। তাঁর মা কৌশল্যা। রামের জন্ম হয়েছিল ত্রেতাযুগে চৈত্র মাসের শুক্ল নবমী তিথিতে।
ভগবান রাম ত্রেতাযুগে ভগবান বিষ্ণুর অবতার হয়েছিলেন। তিনি অযোধ্যা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা ছিলেন রাজা দশরথ এবং তাঁর মা ছিলেন কৌশল্যা। রামের ছিলেন তিন ভাই, লক্ষ্মণ, ভরত এবং শত্রুঘ্ন।
রামচন্দ্র অত্যন্ত পরাক্রমী এবং ধার্মিক ছিলেন। তিনি বাল্যকাল থেকেই ধর্মের পথে আগ্রহী ছিলেন। তিনি বাল্মীকি আশ্রমে গুরু বশিষ্ঠের কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করেছিলেন। রামের স্ত্রীর নাম সীতা। সীতা ছিলেন রাজা জনকের কন্যা।
রামচন্দ্রের জীবন অত্যন্ত কষ্টের ছিল। তিনি বনবাসে গিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি অনেক কষ্ট ভোগ করেছিলেন। কিন্তু তিনি কখনও ধর্মের পথ থেকে বিচলিত হননি। তিনি রাক্ষস রাজ রাবণকে বধ করেছিলেন এবং অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন।
আজ শ্রী রাম নবমীর শুভ তিথিতে ভগবান রামচন্দ্রের জীবন থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। তাঁর ধর্মনিষ্ঠা, সততা এবং পরাক্রম আমাদের সকলের জন্য আদর্শ। আসুন, এই পবিত্র দিনে আমরা ভগবান রামচন্দ্রের অনুগ্রহ লাভ করি এবং তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের জীবনকে সফল করি।