শৈলজা পায়েক: দলিত গবেষণায় বিশ্বব্যাপী পারদর্শী এক ইতিহাসবিদ




সামাজিক স্তরবিন্যাস, যৌনতা এবং লিঙ্গের সংযোগস্থল নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে গিয়েই ইতিহাসবিদ শৈলজা পায়েকের প্রবেশ ভারতীয় দলিত গবেষণায়।

১৯৭৩ সালে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের একটি দলিত পরিবারে জন্ম নেওয়া শৈলজা পায়েক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনেটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের চার্লস ফেল্পস ট্যাফ্টের স্বনামধন্য অধ্যাপক। তিনি এশিয়ান স্টাডিজ এবং নারী, লিঙ্গ ও যৌনতার বিষয়েও অধ্যাপনা করে থাকেন।

দলিত সম্প্রদায় নিয়ে তার গবেষণা তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিয়েছে। তিনি এই বিশ্বাস করেন যে, দলিতদের শিক্ষার অধিকার দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, "দলিতদের শিক্ষা দেওয়া মানে তাদের ক্ষমতায়িত করা। আর ক্ষমতায়িতকরণ মানে তাদের সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ভেঙে নিজেদের মত প্রকাশের অধিকার লাভ করা।"

শৈলজা পায়েকের কাজের মূল্যায়ন করে তাকে ম্যাক আর্থার ফেলোশিপও প্রদান করা হয়েছে। এই ফেলোশিপটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফেলোশিপগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। তিনি এই ফেলোশিপটি গ্রহণকারী প্রথম দলিত।

শৈলজা পায়েকের গবেষণা দলিতদের সামাজিক অবস্থান এবং তাদের সমস্যাগুলি বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি একটি অলাভজনক সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেটি দলিতদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কাজ করে।

  • শৈলজা পায়েকের গবেষণা দলিতদের সামাজিক অবস্থান বোঝার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
  • তিনি তার কাজের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ম্যাক আর্থার ফেলোশিপ পেয়েছেন।
  • তিনি দলিতদের সহায়তা করার জন্য একটি অলাভজনক সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করেছেন।

সমগ্র বিশ্বের লাখ লাখ দলিতদের ক্ষমতায়ন এবং প্রগতির জন্য শৈলজা পায়েকের কাজ চলমান উদাহরণ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টার জন্য তিনি প্রশংসা ও সম্মানের পাত্রী।