শিশু দিবস মজা করার জন্য নয়, ভাবনার সময়




আবার এসেছে শিশু দিবস বা बाल दिवस। চকলেট, চিপস আর মিষ্টি দিয়ে কতটা খুশী করবেন সন্তানকে? কিংবা স্কুলে বা ক্লাবঘরে নিয়ে গিয়ে নাচ-গান বাজিয়ে কতটা রঙিন করবেন তাদের দিনটা? ভেবে দেখুন, এটা কি শিশু দিবস পালনের সঠিক রাস্তা?
শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিনে দেশে শিশু দিবস পালন করা হয়। কিন্তু কি এইদিন শুধুই শিশুদের মেজাজ ভালো করার দিন? উল্টো এটি শিশুদের অধিকার, তাদের প্রতি আমাদের কর্তব্য এবং দায়িত্ব সম্পর্কে চিন্তা করার দিন।
আজ ভারত সহ বিশ্বের প্রতিটি দেশে শিশুরা অনেক সমস্যার সঙ্গে লড়ছে। সন্ত্রাসের হাতে শিশুদের অপহরণ বা শিশুদের বেহাত অনেকেই মিনতি মেটানোর জন্য ব্যবহার করছে। শুধু এটাই নয়, অল্প বয়সে বিয়ে, শ্রম শোষণ আর শিক্ষার অভাবে অনেক শিশু তাদের শৈশব হারাচ্ছে। এখনও বিশ্বের কোটি কোটি শিশু সঠিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবান পরিবেশ এবং খাবারের অভাবে টিকে থাকতে পারছে না।
শিশু দিবসে এই সব সমস্যার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এই দিনে শিশুদের সমস্যা সমাধানের প্রতিটি স্তরে কীভাবে কাজ করা যায় তা নিয়ে ভাবা উচিত। শিশুদের উপর হিংস্রতা, দারিদ্র্য এবং শোষণের বিরুদ্ধে কথা বলার দরকার রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের উচিত শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য সবকিছু করা। প্রতিটি শিশুর ভালোভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার রয়েছে। তাই এই উপলক্ষ্যে শপথ নিই আমরা শিশুদের সব সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবো।