শাহীন আফ্রিদি




ক্রিকেট জগতের উত্থাপনশীল তারকা শাহীন আফ্রিদি। তার বাম হাতের পেস বোলিংয়ে আজ পুরো বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গন কাঁপছে। সম্প্রতি ঘোষিত পাকিস্তান দলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও শাহীন আফ্রিদি খেলবেন। তবে ক্রিকেট জীবনে শাহীন আফ্রিদির আজকের সফলতা পেছনে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি।

প্রতিভায় আবির্ভাব

১৯৯৮ সালের ৬ এপ্রিল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের লান্ডিকোটালে শাহীন আফ্রিদির জন্ম। শৈশব থেকেই ক্রিকেটের प्रतिভা ছিল তার মধ্যে। ১৪ বছর বয়সে পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৬ দলে ডাক পান তিনি। অল্প বয়সে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন তার দক্ষতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

পেস বোলিংয়ে দক্ষতা

আফ্রিদি তার দ্রুত পেস বোলিংয়ের জন্য বিখ্যাত। তিনি ঘণ্টায় ১৫০ কিমি এরও বেশি গতিতে বল করতে সক্ষম। তার বাম হাতের সুইং এবং বলের সঠিক দৈর্ঘ্যে রাখার দক্ষতা ব্যাটসম্যানদের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বোলিং গড় মাত্র ২১.৫৫, যা তার দক্ষতার সাক্ষ্য দেয়।

আন্তর্জাতিক অভিষেক

২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আফ্রিদির আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। তার দ্বিতীয় বলেই তিনি উইকেট নেন। এরপর থেকেই আফ্রিদি আর কখনো পেছন ফিরে তাকাননি। তিনি পাকিস্তানের হয়ে সব ফরম্যাটে মিলিয়ে ১১০টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন।

ক্যারিয়ারের উচ্চতা

২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে আফ্রিদি দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের মাধ্যমে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সাত ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে তিনি সর্বাধিক উইকেট শিকারী হন। বিশ্বকাপের ম্যান অফ দ্য সিরিজ খেতাবও অর্জন করেন তিনি। ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেরা পারফর্ম্যান্সের জন্য আফ্রিদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বর্ষসেরা উদীয়মান তারকার পুরস্কারেও ভূষিত করা হয়।

ব্যক্তিগত জীবন

ক্রিকেটের বাইরে আফ্রিদি একজন সহজ-সরল এবং ভাবপ্রবণ ব্যক্তি। তিনি পরিবার এবং বন্ধুদের কাছের। সামাজিক মাধ্যমে তাকে প্রায়ই হাসিখুশি এবং বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা যায়। তিনি একজন সৎ এবং আন্তরিক মানুষ হিসেবে পরিচিত।

ভবিষ্যতের আশা

শাহীন আফ্রিদি ক্রিকেট জগতে এখনো আবির্ভাব ঘটেছেন। মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি অনেক যা অর্জন করেছেন, তা অবিশ্বাস্য। আগামীতে তার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তিনি যদি তার ফিটনেস এবং ফর্ম বজায় রাখতে পারেন, তবে কোন সন্দেহ নেই যে আফ্রিদি আগামী বছরগুলোতেও পাকিস্তান ক্রিকেটের স্তম্ভ হিসেবে আবির্ভূত হবেন।