সেইসব নানীমা যাঁদের দেখেই স্মৃতির ঝাঁপ দিই




আমাদের জীবনে নানীমার মতো গুরুজন খুব কমই থাকেন। ছোটবেলার গল্প, সুস্বাদু রান্না, আর সেই আদরের আঁচলে কেটে যাওয়া সন্ধ্যাবেলা— সব মিলিয়ে নানীমা একটা অমৃত।

নানীমা মানেই ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর উষ্ণতার এক অপরিবর্তনীয় প্রতীক। তাঁদের হাতের হালুদ আর কাজলের দাগ, পুরনো পাড়ের শাড়ি আর কানে ঝোলানো মুক্তোর দুল— সব কিছুই যেন আমাদেরকে অতীতের সঙ্গে যুক্ত করে।

  • তার কাজলের দাগ ৷ এই দাগ প্রতীকী, শুধু চোখের জন্য নয়, তাঁর যত্ন আর ভালোবাসার।
  • তার কাঁথা আর ছেড়া শাড়ি ৷ এসব নানীমার কষ্টের প্রতীক, কিন্তু তা সত্ত্বেও তা আরাম আর ভালোবাসায় মোড়ানো।
  • তার পুরনো আতর আর চেঁচড়ি ৷ এই গন্ধগুলি সময়ের সঙ্গে ধুয়ে যায় না, আর স্মৃতি উস্কে দেয়।

নানীমাদের সঙ্গে সময় কাটানো মানেই শৈশবের স্বর্ণালী দিনগুলোর স্মৃতিবিজড়িত ভ্রমণে যাওয়া। তাঁদের কল্পনাপ্রসূত গল্প আর লোককথা, ঝরা পাতার দলায় সাজানো বরফ আর আমের আচার— সবকিছুই আমাদের শৈশবকে মায়া আর উষ্ণতায় ভরে দেয়।

"হে ছোট্ট বানর, তোমার লেজ কে কাটল?"

নানীমাদের রান্না একটা আলাদা মাত্রা। তাঁদের তরকারি আর ডালে যেন জাদুর ঝাঁক। সেই হাতে বানানো রুটি আর মিষ্টি, তাঁদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার নিঃশব্দ প্রমাণ।

নানীমারা শুধু আমাদের পরিবারের নয়, সমগ্র সমাজের চিরন্তন বন্ধন। তাঁদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা আর দয়া আমাদের সকলের জীবনকে ছুঁয়ে যায়।

চলুন, আমরা সকলেই আমাদের নানীমাগণকে আজই একটু সময় দেই। তাঁদের সঙ্গে গল্প করি, তাঁদের সঙ্গে হাসি-তামাশা করি। কারণ, একদিন, যখন তাঁরা আমাদের মাঝে না থাকবেন, তখন এই মুহূর্তগুলিই আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান স্মৃতি হয়ে থাকবে।