সিএএ 2019 সালে ভারতের সংসদ দ্বারা পাস করা হয়েছিল। এই আইন তিনটি দেশ-আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত অ-মুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ করে দেয়। এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল কথিত ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার এই বিশেষ গোষ্ঠীগুলির ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ সহজ করা।
যাইহোক, সিএএ ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। অনেক নালোচক যুক্তিযুক্ত করছেন যে আইনটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক, কারণ এটি অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির সদস্যদের কাছে নাগরিকত্ব লাভের একটি সহজ পথ প্রদান করে। তারা আরও যুক্তি দেখান যে, এই আইনটি ভারতের সংবিধানের 14 অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে, যা সমস্ত নাগরিকের আইনের সমান সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
সিএএ-এর সমর্থকরা যুক্তি দেন যে আইনটি প্রয়োজনীয় কারণ এটি নিপীড়িত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা প্রদান করে। তারা আরও যুক্তি দেখান যে, আইনটি ভারতের সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, কারণ এটি বিদেশী নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করে না।
সিএএ বিতর্কটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে এবং এটি ভারতের রাজনৈতিক ভূদৃশ্যকে প্রভাবিত করেছে। এই আইনটি ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এবং এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
সিএএ ভারতের একটি বিতর্কিত আইন এবং এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।