ভারতের বিপুল সংখ্যক যুব সম্প্রদায়কে চাকরির জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার ২০১৫ সালে স্কিল ইন্ডিয়া মিশন চালু করে। এই মিশনের উদ্দেশ্য ভারতকে "আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ শ্রমশক্তির কেন্দ্র" হিসাবে গড়ে তোলা।
আমার জন্য, স্কিল ইন্ডিয়া মিশনের প্রভাব সরাসরি দেখার সুযোগ হয়েছে। আমার শহরের একটি দরিদ্র এলাকার এক তরুণ ছেলে, যার নাম রাজেশ, সবসময় বেকার থাকার জন্য হতাশ ছিল। সে তার অর্ধ-পরিত্যক্ত জীবনের কোনো উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে পারেনি। কিন্তু স্কিল ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে সে নলকার মেরামত করার প্রশিক্ষণ পেয়েছিল। আজ, সে তার এলাকার একজন স্বীকৃত নলকার মিস্ত্রি এবং তার পরিবারের ভরণপোষণের জন্য পর্যাপ্ত আয় করছে। রাজেশের মতো গল্পগুলিই প্রমাণ করে যে স্কিল ইন্ডিয়া কীভাবে ব্যক্তিদের জীবনকে পরিবর্তন করছে এবং আমাদের দেশটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।স্কিল ইন্ডিয়া মিশনটি কর্মশক্তি প্রশিক্ষণ প্রদানে অসংখ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যেমন:
এই পদক্ষেপগুলির ফলে দেশে দক্ষ শ্রমশক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। 2025 সালের মধ্যে 40 करोड़েরও বেশি মানুষকে দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য স্কিল ইন্ডিয়া মিশন নির্ধারণ করেছে।
স্কিল ইন্ডিয়া মিশনের উপকারিতাগুলি সুদূরপ্রসারী:স্কিল ইন্ডিয়া মিশনের সাফল্যে সমগ্র দেশের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সরকার, শিল্প এবং ব্যক্তিরা সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে যাতে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের জন্য দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুযোগ নিশ্চিত করা যায়।
দক্ষ, সক্ষম এবং আত্মনির্ভর একটি জাতি গড়ার স্বপ্নকে সত্যি করার শক্তি রয়েছে স্কিল ইন্ডিয়া মিশনের। আসুন আমরা সকলেই এই মিশনে যোগদান করি এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত একটি প্রজন্ম গড়ে তুলি।