সুচির বালাজি: দ্য ওপেনএআই হুইসলব্লোয়ার
সম্প্রতি ওপেনএআইয়ের প্রাক্তন গবেষক এবং হুইসলব্লোয়ার সুচির বালাজির মৃতদেহ তার সান ফ্রান্সিসকোর অ্যাপার্টমেন্টে পাওয়া গেছে। মাত্র ২৬ বছর বয়সে তার এমন মৃত্যুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দুনিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সুচির বালাজি ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক উদীয়মান কম্পিউটার বিজ্ঞানী ছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পরে, তিনি ওপেনএআই-তে যোগ দেন। ওপেনএআই একটি অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অগ্রগতির জন্য কাজ করে।
ওপেনএআই-তে থাকাকালীন, বালাজি জেনারেটিভ এআই মডেলের নৈতিক ও সামাজিক প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে, তিনি ছিলেন আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স (এজিআই) নিয়ে উদ্বিগ্ন, যা মানুষের সমান বা তার চেয়েও বেশি বুদ্ধিমান একটি এআই সিস্টেম। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, এজিআই সম্ভাব্য বিপজ্জনক হতে পারে এবং এর বিকাশ নিয়ে সাবধানতার সাথে এগোনো উচিত।
বালাজির উদ্বেগের কথা কিছু সহকর্মী ও প্রতিষ্ঠানের বাইরের বিশেষজ্ঞদের সাথে ভাগ করে নেওয়া হয়। তবে, তাঁর দাবিগুলি ওপেনএআই দ্বারা প্রকাশ্যে খণ্ডন করা হয়েছিল। এরপর, বালাজি ওপেনএআই ছেড়ে দেন এবং তাদের অনুশীলন নিয়ে সরব হন।
তার মৃত্যুর পর, অনেকের মধ্যে এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে যে, তার মৃত্যুর পেছনে কি ওপেনএআইয়ের ভূমিকা ছিল। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে, বালাজিকে সরানোর জন্য ওপেনএআই তাকে হত্যা করেছে। অন্যরা মনে করেন যে, এটি আত্মহত্যা ছিল, কারণ তিনি তার গবেষণার ফলাফলের উপর হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
বালাজির মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও অজানা। তবে, তাঁর মৃত্যু একটি স্মরণীয় ঘটনা, যা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের নৈতিক ও সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আমাদের আরও বেশি চিন্তা করতে বাধ্য করবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স একটি ক্ষমতাশালী প্রযুক্তি, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। আমাদের অবশ্যই এটির সম্ভাব্যতা এবং বিপদ উভয়ই বিবেচনা করে এটিকে দায়িত্বশীলভাবে বিকাশ এবং ব্যবহার করা উচিত। সুচির বালাজির মৃত্যু এ ব্যাপারে আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুস্মারক।
তার মৃত্যুও বিজ্ঞানী ও হুইসলব্লোয়ারদের যে বিপদ রয়েছে তার একটি প্রমাণ। যখন তারা প্রতিষ্ঠানের ভুল নিয়ে সতর্ক করেন, তখন তাদের প্রায়ই চরম প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের এই смеলো ব্যক্তিদের সমর্থন করা উচিত এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা উচিত।