সত্যিই কি আর জি কে কে আর সিবিআই?




এই বড় শিরোনাম সত্ত্বেও, আপনি হয়ত বিস্মিত হয়ে ভাবতে পারেন যে এটি কি সত্যিই ঘটছে। হ্যাঁ, এটা সত্যিই ঘটছে, আর জি কে কে র মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সোমবার গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি চিকিৎসা করিয়ে ভর্তি হওয়া ধর্ষিতা এক তরুণীর ফরেনসিক প্রতিবেদন ধ্বংসের জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে যে, এই ঘটনায় তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেননি। আদালত তাঁকে তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ৯ অগস্ট টিএনএসআরের প্রাক্তন ছাত্রী দুর্গাপুরের এক তরুণীকে রাতে ধর্ষণ ও হত্যার পরে আর জি কে কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর প্রায় ১৪ ঘন্টা পরে তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর মৃত্যুর তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। পরে রাজ্য সরকারের সুপারিশে এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়।

প্রাথমিক তদন্তে সিবিআই সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে, নির্দিষ্ট কিছু কারণে ঘটনার প্রথম দিকে সঠিক ভাবে তদন্ত করা হয়নি। এছাড়াও তদন্তে সহযোগিতা করেননি ঘোষ। সন্দীপ ঘোষের ব্যাপারে গুরুতর সন্দেহ তৈরি হয় তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষার ফলাফল দেখে। তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা না করার জন্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এই ঘটনার আগে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তকারী অফিসার আত্মহত্যা মামলায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর দাবি, সন্দীপ ঘোষ তদন্তকারী অফিসারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন।

এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন আর জি কে কে হাসপাতালের এসআইও অভিজিৎ মণ্ডলও। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি নির্দিষ্ট কিছু কারণে ধর্ষিত তরুণীর মৃত্যুর পরে সঠিক ভাবে তদন্ত করেননি। তাঁকেও গ্রেপ্তার করে তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রথমে তালা থানার ওসি কল্যাণ মণ্ডল। এরপর ওসি অমনকুমার পাখিড়া, হাসপাতালের সাবেক সুপার রাজীব চক্রবর্তী। এরপর অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। আর এখন সন্দীপ ঘোষ।

আর জি কে কে মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করার পরে এই ঘটনার নতুন মোড় নিল। তদন্তকারীরা এখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে মরিয়া।