কর্ণাটকের রাজনীতিতে একটি নাম যা সম্মান, ভালবাসা এবং প্রশংসার সাথে উচ্চারিত হয় তা হল সিদ্ধরামাইয়া। একজন সত্যিকারের জননেতা, তিনি তাঁর জীবন নিঃস্বার্থভাবে রাজ্য এবং তার মানুষের সেবায় উৎসর্গ করেছেন।
সিদ্ধরামাইয়ার জন্ম ১৯৪৮ সালে মাইসুরু জেলার সিদ্ধগঙ্গামাথে একটি দরিদ্র কৃষক পরিবারে। তিনি তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা গ্রামের একটি সরকারি স্কুলে পেয়েছিলেন এবং পরে মাইসুরুর মহারাজা কলেজ থেকে আইন নিয়ে স্নাতক হন। তিনি তাঁর অধিকাংশ যৌবন কৃষকদের অধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে बिताয়েছেন, যা তাঁকে ರাজ্যের একটি সম্মানিত এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।
নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগে সিদ্ধরামাইয়া জনতা দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৮৩ সালে তিনি কর্নাটক বিধানসভায় প্রথম নির্বাচিত হন এবং তখন থেকে তিনি রাজ্যের রাজনীতিতে একটি প্রভাবশালী শক্তি হিসাবে রয়েছেন। তিনি একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন এবং প্রতিটি দায়িত্বে তিনি কর্নাটকের উন্নয়ন এবং কল্যাণের জন্য দায়বদ্ধ ছিলেন।
সিদ্ধরামাইয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানগুলির মধ্যে একটি হল 'অন্ন ভাগ্য' প্রকল্পের প্রবর্তন, যা রাজ্যের দরিদ্র এবং দুর্বলদের জন্য একটি বিপুল ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য প্রকল্প। এই প্রকল্পটি ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে সস্তায় খাবার সরবরাহ করেছে এবং কর্নাটকে ক্ষুধা নিরসনে একটি অমূল্য ভূমিকা পালন করেছে।
ব্যক্তিগতভাবে, সিদ্ধরামাইয়া একজন বিনয়ী এবং দয়ালু ব্যক্তি। তিনি সবসময় জনগণের কাছে সহজলভ্য হয়েছেন এবং তিনি তাদের সমস্যা শুনতে এবং তাদের সমাধানের জন্য কাজ করতে সবসময় আগ্রহী হয়েছেন। তাঁর সহানুভূতি এবং জনগণের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি কর্নাটকবাসীর হৃদয়ে তাঁকে একজন সত্যিকারের জননায়ক হিসেবে রেখেছে।
সিদ্ধরামাইয়ার জীবন এবং রাজনৈতিক যাত্রা প্রতিটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী নেতার জন্য একটি অনুপ্রেরণা। তিনি জনগণের সেবার, সুশাসনের এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। তাঁর উত্তরাধিকার আগামী অনেক প্রজন্মকে কর্নাটক এবং তার বাইরে উন্নত করতে এবং পরিবর্তন আনতে অনুপ্রাণিত করবে।