রাজনীতির মহীরুহ, যার ঝাঁপান এক জনমজুড়ে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সহ নানা গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন সদানন্দ গৌড়। রাজনীতিতে তার অভিজ্ঞতা এবং সাধনা সম্পর্কে খোলামেলা বর্ণনা তিনি দিয়েছেন লেখিকা শ্বেতা পালের কাছে।
শ্বেতা পাল: রাজনীতিতে আসার পিছনে আপনার অনুপ্রেরণা কী?
সদানন্দ গৌড়: আমি তো কৃষক পরিবারের সন্তান। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি, কীভাবে মানুষের জন্য কাজ করা উচিত। আমার পিতা রাজনীতিতে ছিলেন না, কিন্তু গ্রামের সবার জন্য কাজ করতেন। সেই দেখে বুঝেছিলাম, মানুষের সহযোগিতা করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
শ্বেতা পাল: রাজনীতির সবচেয়ে বড় শিক্ষা কী আপনার কাছে?
সদান্দ গৌড়: রাজনীতিতে, তুমি যতই বড় নেতা হও না কেন, শেষ পর্যন্ত তুমি জনসাধারণেরই কাজ করছো। সেটাই মনে রাখতে হবে। তাই, সবসময় মাটির সঙ্গে যুক্ত থাকাটা খুব জরুরি।
শ্বেতা পাল: রাজনীতিতে সফল হতে হলে কী প্রয়োজন?
সদানন্দ গৌড়: রাজনীতিতে সফল হতে হলে প্রথমেই জনতার প্রতি নিষ্ঠা থাকাটা জরুরি। আরও প্রয়োজন দৃঢ় সংকল্প, অধ্যবসায় এবং পরিশ্রম। সেই সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার দক্ষতাও থাকতে হবে। কারণ, শেষ পর্যন্ত জনতার কাছে গিয়েই তাদের সমস্যা শুনতে হবে। তাদের ভোটের জন্য নয়, তাদের সেবার জন্যই কাজ করতে হবে।
শ্বেতা পাল: রাজনীতিতে আপনার সবচেয়ে গর্বের মুহূর্ত কী?
সদানন্দ গৌড়: আমার রাজনৈতিক জীবনে অনেক ভালো মুহূর্ত আছে। তবে সবচেয়ে গর্বের মুহূর্ত বলে আমি বলব 2011 সালে, যখন আমি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম। সেই মুহূর্তটা আমার জন্য বিশেষ, কারণ আমার স্বগৃহের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি সেই সময় পানীয় জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ এবং কৃষির উন্নতির জন্য অনেক কাজ করেছিলাম।
শ্বেতা পাল: নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের কী পরামর্শ দেবেন আপনি?
সদানন্দ গৌড়: আমি নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের বলব, তারা যেন সবসময় জনকল্যাণের কথা মাথায় রাখেন। কখনো ভুলে যাবেন না, আপনার ক্ষমতার যিনি উৎস, তিনি জনসাধারণ। তাদের সমস্যা সমাধান করতেই রাজনীতিতে এসেছেন, সেটা মনে রাখবেন।