গত বছরের জুলাই মাসে ৭০তম শতকটি সংগ্রহের পর আর দীর্ঘ দিন কোহলির ব্যাট থেকে শতক না দেখলেও, তার ফ্যানরা সর্বদা বিশ্বাস রেখেছিলেন তিনি পারবেন। আর ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই মেলালেন সেই প্রত্যাশা।
তবে চলতি বছরের এশিয়া কাপের শুরু থেকেই ফর্মে ছিলেন কোহলি। এশিয়া কাপে শতক না পেলেও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অর্ধশতক এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই সুপার ৪০ ম্যাচে একটি দুর্দান্ত ৬০ রানের ইনিংস খেলার পরে, এটা স্পষ্ট ছিল যে কোহলির ব্যাট থেকে শতক দেখা যে শুধুই সময়ের ব্যাপার।
টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে অনুশীলনের সময়ও বিরাটের ব্যাটিং অনেকটা আগের মতোই মনে হচ্ছিল। ভালো খেলবে কি না তা ঠিক বলা না গেলেও একটা অন্যরকম একটা আত্মবিশ্বাস বিরাটের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছিল অনুশীলনের সময়।
ম্যাচের নির্ধারিত দিনে, অস্ট্রেলিয়া ৭৬ রানে অল-আউট করার পর, ভারতীয় দল ব্যাটিংয়ে নামে। তবে দলের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের বেশিরভাগই প্যাভিলিয়ন ফিরে যান দ্রুত পদক্ষেপে।
এরপর উইকেটে আসেন বিরাট কোহলি। মাঝের স্টাম্পে গিয়ে দাঁড়ান তিনি। আর শুরু হয় সেই পরিচিত ক্রিকেটের পাঠ। মাঠের দর্শকদের আনন্দই যেন দেখার মতো। দীর্ঘ অপেক্ষার পর তাদের প্রিয় খেলোয়াড়কে শতকের কাছাকাছি আসতে দেখে।
প্রথম সেশনে আর্ধশতকটি পূর্ণ করেন তিনি মাত্র ১০০ বলে। এরপর দ্বিতীয় সেশনে একটু ধীর গতিতে খেলেন তিনি। কিন্তু শেষ দিকে তার ব্যাটিং আবার দ্রুত গতিতে এগোতে শুরু করে এবং ইনিংসের শেষদিকে কয়েকটি দুর্দান্ত স্ট্রোক খেলে সবার কাছেই তিনি প্রমাণ করেন যে রান মেশিন আজও একই রকম আছে।
দুইটি দুর্দান্ত বাউন্ডারির সাহায্যে দ্রুত তিনি নিজের শতক পূরণ করেন। ম্যাচের পর তিনি বলেন, "আমি সত্যিই আনন্দিত যে আমার শতকটি এলো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। এটি আমার জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত। আমি জানি না এই সময়টায় আমার ভক্তরা কতটা কষ্টে ছিলেন। তবে আপনাদের সমর্থনেই আজ আমি এই শতকটি নিবেদন করছি।"
বিরাট কোহলির এই শতক প্রমাণ করে যে তিনি এখনও বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তিনি এখনও ভারতীয় ক্রিকেট দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং আগামী কয়েক বছরেও তার থেকে আমরা আরও অনেক অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখতে পাবো বলে আশা করা যায়।