সৌদি আরব সবসময়ই তেল উৎপাদনকারী একটি দেশ হিসাবে পরিচিত হয়ে এসেছে। কিন্তু কিছু সময় ধরে, এই দেশ তাদের অর্থনীতিকে বৈচিত্র্য করতে চেষ্টা করছে। এবং তাদের বৈচিত্রকরণের একটি কেন্দ্রবিন্দু চাষ।
সৌদি আরব একটি মরুভূমি দেশ, এবং অতীতে, তারা খাদ্যের জন্য প্রধানত আমদানির উপর নির্ভরশীল ছিল। তবে, সরকার বুঝতে পেরেছে যে এই নির্ভরতা তাদের দেশের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। কারণ, যদি তেলের দাম কমে যায় বা যদি কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতা হয়, তাহলে তারা খাদ্যের অভাবে পড়তে পারে।
সেই কারনে সৌদি আরব তাদের কৃষি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। তারা আধুনিক সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে, এবং তারা তাদের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আরও দক্ষ হতে।
এই বিনিয়োগ ইতিমধ্যেই ফল দিয়েছে। সৌদি আরব এখন তাদের নিজস্ব প্রয়োজনের প্রায় অর্ধেক খাদ্য উৎপাদন করছে। এবং তারা অদূর ভবিষ্যতে খাদ্যে স্বনির্ভর হওয়ার পথে রয়েছে।
সৌদি আরবের কৃষি খাতের বিকাশ কেবল তাদের নিজেদের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সৌদি আরব যখন তাদের নিজেদের খাদ্য সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে, তখন তারা অন্য দেশের কাছে খাদ্য সরবরাহের জন্য কম নির্ভরশীল হয়ে যায়। এটি তাদের আরও স্ব-নির্ভর এবং অঞ্চলের মধ্যে বিরোধের সম্ভাবনা কমায়।
সৌদি আরবের কৃষি খাতের বিকাশ একটি অনুপ্রেরণাদায়ক কাহিনী। এটি দেখায় যে একটি দেশ কিভাবে তাদের দুর্বলতাগুলিকে শক্তিতে পরিণত করতে পারে।
সৌদি আরবের কৃষি খাতের বিকাশ থেকে অন্যান্য দেশও শিক্ষা নিতে পারে। বিশেষ করে যে দেশগুলি খাদ্যের জন্য আমদানির উপর নির্ভরশীল। সৌদি আরব দেখিয়েছে যে সঠিক বিনিয়োগ এবং প্রতিশ্রুতির সাথে, কোনো দেশই খাদ্য সুরক্ষা অর্জন করতে পারে।