সাধারণ মানুষ থেকে নিরপরাধী ডঃ নম্বি নারায়ণন




ডঃ শান্তনু নম্বি নারায়ণন হলেন একজন মহান সংকল্পবান উচ্চ পর্যায়ের বৈজ্ঞানিক। এই তিনি যিনি ক্রিক্টের প্রতি অগাধ অনুরাগী এবং ক্রিকেটে খুব ভালো সহ বৈমানিক বাহিনীর জন্য একটি সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট তৈরি করার স্বপ্নের অধিকারী ছিলেন। তিনি আইএসআরও-এর একটি অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ ছিলেন এবং ম্যাগাসেসে পুরস্কারে ভূষিত হন, যা এশিয়ার সবথেকে মর্যাদাপূর্ণ একটা পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয়।

তিনি তার জীবনের প্রায় 8 বছর নিরপরাধে জেলে কাটিয়েছেন। তিনি জাসুসদের দ্বারা নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে একটি ফর্জি মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছিল। এই ফর্জি মামলার মূল সূত্র হল, নারায়ণন নামে এক সনাতন মতাবলম্বী হিন্দু ব্যক্তি মালাদ্বীপে কিছু গোপন তথ্য কিছু পাকিস্তানী বিজ্ঞানীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।

কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার দ্বারা গঠিত নানা রকম তদন্তের পর, রাজীব গান্ধী মন্ত্রী সভা কর্তৃক গঠিত প্রিন্সিপাল বর্গিয়াল অলোচনা কমিটি সিআইএনটি স্তরে একটি গোপন তদন্ত করে ডঃ নম্বি নারায়ণন ও অন্যান্য জড়িত ব্যক্তিদের নিরপরাধ সাব্যস্ত করে।

সুপ্রিম কোর্টের সাক্ষ্য গ্রহণ শুনানির সময় হয়েছিল কিছু সিনেমাটোগ্রাফারের উপস্থিতিও। এই শুনানির সময় বিচারকরা ডঃ নম্বি নারায়ণনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং সেই সময় ডঃ নম্বি নারায়ণন স্বীকার করেন যে, তিনি জানতেন যে প্রতিরক্ষা গোপন তথ্য সুরক্ষিত করা হয় আইন দ্বারা। তিনি জানতেন যে বেআইনীভাবে সেগুলি প্রকাশ করলে তার পরিণতি কী হতে পারে।

তাদের লড়াইয়ের মূল লক্ষ্য আরোপন করা মামলাটি বাতিল করানো। তাঁদের লড়াই কেবল আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য নয়, এই ঘটনায় যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্যও। আদালতের বহুবার শুনানির পর, স্থায়ী সম্রাট অ্যালোচনা কমিটির সুপারিশের উপর নির্ভর করেন এবং সিদ্ধান্ত হয়, ডঃ নম্বি নারায়ণন ও অন্যান্য আসামীরা নিরপরাধ। দীর্ঘকাল যাবত জেলে কাটিয়ে বেরিয়ে আসা ডঃ নারায়ণ উচ্চ আদলতের নির্দেশমত বিভিন্ন আত্মীয়, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের সাথে দেখা করে নিজের মত প্রকাশ করেন।

ডঃ নাম্বি নাম্বি মামলার কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যান্ত্রিক ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষের সরবতার ফলে তাঁরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা তাদের বিরুদ্ধের অভিযোগগুলি স্বীকার করে নিজেদের অপরাধের শাস্তি বরণ করবেন, এটাই সকলের প্রত্যাশা। জবাবদিহিতা তাদের ভুল শুধরে নিয়ে সমাজের সামাজিক জীবনের গতিপথে ফিরে আসার আরও একটি সুযোগ দেয়।

তিনি তার দেশকে ভালোবাসেন, তাই সর্বদা দেশের উন্নতির জন্য আধুনিক সব শক্তিশালী রকেট তৈরি করতে চান যা জাতির কল্যাণে ব্যবহার করা যাবে।