চট্টগ্রাম থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দূরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ অবস্থিত, যা একটি বিশাল প্রবাল দ্বীপ। সুন্দর সাদা বালি, স্বচ্ছ জল এবং নারিকেল গাছের দোল দ্বীপটিকে যাদুকরী স্বর্গে পরিণত করেছে।
স্বর্গীয় অভিজ্ঞতাপ্রথম দেখাতেই সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সৌন্দর্য আপনার মন নিয়ে নেবে। জলের রঙ এত স্বচ্ছ যে আপনি সরাসরি নীচের বালি এবং প্রবাল দেখতে পাবেন। সাদা বালিতে হাঁটার সময় আপনার পা জলের মতো ঠাণ্ডা থাকবে। আর বাতাসে নারিকেলের মিষ্টি গন্ধ আপনাকে অন্য জগতে নিয়ে যাবে।
দ্বীপটিতে বিভিন্ন সাঁতার কাটার স্থান রয়েছে, যেখানে আপনি রঙিন প্রবাল, বন্য সামুদ্রিক প্রাণী এবং স্বচ্ছ জল উপভোগ করতে পারেন। আপনি স্নরকেলিং বা স্কুবা ডাইভিং করতে পারেন, যা আপনাকে সামুদ্রিক জীবনের নিকটবর্তী একটি অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে।
ঐতিহ্যবাহী গ্রামসেন্ট মার্টিন দ্বীপে কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম রয়েছে যেখানে আপনি স্থানীয়দের জীবন সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনি তাদের বাঁশ এবং খড় দিয়ে তৈরি ঘর, তাদের জীবিকা এবং তাদের আচার-অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন। আপনি এমনকি কিছু স্কুলে যেতে পারেন এবং শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন।
সমুদ্রতটের সূর্যাস্তসেন্ট মার্টিন দ্বীপে সূর্যাস্ত একটি অবিস্মরণীয় দৃশ্য। সূর্য আকাশে সোনালি রঙের আভা ছড়িয়ে দিলে আকাশ জুড়ে রঙিন মেঘের একটি ক্যানভাস তৈরি করে। সূর্য ডুবলে আকাশ একটি সুন্দর গোলাপী রঙ ধারণ করে যা সমুদ্রের পানিতে প্রতিফলিত হয়, যা একটি মোহনীয় দৃশ্য তৈরি করে।
কর্মব্যস্ত বাজারসেন্ট মার্টিন দ্বীপের কেন্দ্রস্থলে একটি কর্মব্যস্ত বাজার রয়েছে। এটি স্থানীয় পণ্য, হস্তশিল্প, গয়না এবং খাবারের একটি বিস্তৃত পরিসর বিক্রি করে। আপনি তাজা সামুদ্রিক মাছ, শুকনো মাছ, তাজা ফল এবং স্থানীয় মশলা কিনতে পারেন। বাজারটি জীবন্ত এবং রঙিন, যেখানে আপনি স্থানীয়দের সাথে মিশ্রিত হতে এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারেন।
পরিবহনসেন্ট মার্টিন দ্বীপে পৌঁছানোর সবচেয়ে সুবিধাজন উপায় হল প্লেন বা প্রাইভেট জেটি। চট্টগ্রাম থেকে রেগুলার ফেরি পরিষেবাও রয়েছে। দ্বীপটি অন্বেষণের জন্য আপনি স্কুটার বা সিএনজি ভাড়া নিতে পারেন।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ একটি জাদুকরী স্থান যেখানে আপনি স্বর্গের স্বাদ নিতে পারেন। এর সুন্দর সাদা বালি, স্বচ্ছ জল এবং গ্রামীণ জীবনশৈলী আপনাকে একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দেবে।