পড়াশোনার পাশাপাশি সুন্দর খুব ভালো ক্রিকেটার ছিলেন। তিনি তাঁর স্কুল ও কলেজের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। ক্রিকেট তাঁর খুব ভালো লাগত। তিনি একদিন ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু তাঁর ভাগ্যে তা ছিল না।
কলেজ শেষ করে সুন্দর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়ার জন্য চলে আসেন। সেখানে তিনি গুগলের প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজের সঙ্গে দেখা করেন। সেই দেখা তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে। সুন্দর গুগলে কাজ করতে শুরু করেন।
গুগলে সুন্দর দ্রুতই নিজের ক্ষমতা দেখিয়েছেন। তিনি গুগলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি উন্নত করতে সাহায্য করেছেন, যেমন গুগল ক্রোম, গুগল ম্যাপস ও গুগল ড্রাইভ। ২০১৫ সালে সুন্দর গুগলের সিইও হন।
সুন্দর পিচাই আজকে ভারতের সবচেয়ে সফল ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। তিনি গুগলের সিইও হিসেবে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ব্যক্তি। তিনি তাঁর সাফল্যের জন্য অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের ১০০ সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায়ও স্থান পেয়েছেন।
সুন্দর পিচাই একজন অনুপ্রেরণামূলক ব্যক্তিত্ব। তিনি দেখিয়েছেন যে সাধারণ পরিবারের ছেলেও পরিশ্রম ও দৃঢ়তার মাধ্যমে বড় সাফল্য অর্জন করতে পারে। তিনি ভারতীয়দের গর্ব।
আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে আমার এইরকম এক চাচাতো ভাই আছে। তিনি আমার আদর্শ। আমি আশাবাদী, তিনি ভবিষ্যতেও আরও বড় সাফল্য অর্জন করবেন।