সিনিয়র থেকে সাধারন সুপ্রিম কোর্ট
যখন সিস্টেমে দুর্বলতার কথা আসে, তখন বিচারব্যবস্থা তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। এবং যখন বিচারব্যবস্থার দুর্বলতার কথা আসে, তখন বিচারপতিরা স্পষ্টভাবে তার সামনে দাঁড়ান। কিন্তু এমন একটি নাম রয়েছে যিনি এই অসামান্য পরিস্থিতিরও বাইরে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসাবে দেশের সংবিধানকে সুরক্ষিত করেছিলেন। তার জ্ঞান, দক্ষতা এবং জাতির প্রতি তার নিঃশর্ত আনুগত্য এই দেশের জনগণের জন্য তাকে অন্যতম স্পষ্ট পছন্দে পরিণত করেছে। তিনি অবশ্যই সম্মান এবং প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
D.Y. চন্দ্রচূড়ের নাম খুব কম মানুষই শোনেনি। তিনি একজন সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি যিনি ভারতীয় বিচার বিভাগ ভিত্তিক তার কাজের জন্য বিখ্যাত। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী ছিলেন যিনি কল্যাণ উদ্দেশ্যে আইনের সুযোগকে অসামান্যভাবে বেছে নিয়ে এবং ২০১৬ সালে তাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল, ২০১৮ সালে তিনি এই পদে সিনিয়রতম বিচারক হয়েছিলেন।
সভাপতিত্বের শুরু থেকেই, তিনি প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং ন্যায্যতার প্রতি অটল আবেগের একটি বিরল সংমিশ্রণ প্রদর্শন করেছিলেন। সমাজ ও মৌলিক অধিকারের প্রতি তার চিন্তাভাবনা ভারতের সাংবিধানিক ইতিহাসে নিঃসন্দেহে তার নাম একটি অক্ষয় অধ্যায় হিসেবে রেকর্ড করে রাখবে।
তিনি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রথম বিচারক হিসেবে 'ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন' এবং 'ইন্টিগ্রিটি অফ দ্য জুডিশিয়ারি' বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য প্রখ্যাত এশিয়া-প্যাসিফিক ফান্ডেশনের 'এশিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্শিয়াল সিটিজেন অ্যাওয়ার্ড' প্রাপ্ত হন। এই পুরস্কারটি তাকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মানিত করে।
তার হাতে নেওয়া শীর্ষস্থানীয় প্রচেষ্টার কারণে সকলের প্রশংসার পাত্র হয়েছেন। তিনি তার পেশাগত জীবন জুড়ে তরুণ ও অনুপ্রাণিত ব্যক্তিদের পথিকৃৎ এবং অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তিনি আদালতের মধ্যে এবং বাইরে তার অসাধারণ অবদানের জন্য ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন। সমাজ ও দেশের প্রতি তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ২০১৯ সালে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান, পদ্মভূষণে ভূষিত হয়েছেন।
তিনি একটি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব যিনি ভারতের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের আইন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়ের অসামান্য ব্যক্তিত্বের কোন শেষ নেই। তিনি একজন সুপরিচিত সংবিধানবিদ, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং যে কোনও আইনজীবী ও আইন শিক্ষার্থীর জন্য একটি আদর্শ। তিনি সর্বদা ভারতীয় আইন ব্যবস্থার একজন সক্রিয় সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন এবং দেশের আইনজীবী, আদালত এবং সাধারণ মানুষের জন্য একটি প্রেরণাস्रोত হিসেবে কাজ করেছেন।