সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ




আমি একজন ক্রিকেট ভক্ত, আর প্রতিটি ক্রিকেট ভক্তের মতোই, আমারও প্রিয় একটি দল আছে। এবং আমার প্রিয় দলটি হলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
আমার প্রিয় দল সম্পর্কে লেখার সময় আমার মনে পড়ে গেল একটি ঘটনা। এটা ছিল ২০১৬ সালের বিপিএলের একটি ম্যাচ। সেই ম্যাচে আমরা অবস্থায় ছিলাম খুবই খারাপ। ম্যাচে জিততে হলে আমাদের শেষ ওভারে ৩০ রানের প্রয়োজন ছিল।
এমন একটা ম্যাচ যেখানে প্রায় সবাই মনে করছিল হার আমাদেরই, সেই ম্যাচে আমাদের দলের কप्तान ডেভিড ওয়ার্নার একটা অসাধারণ ইনিংস খেললেন। শেষ বলে ৬ রান দরকার, আর আমাদের দলের হাতে ছিল শুধুমাত্র একটি উইকেট। আমার হৃদয় তখন বন্ধ হয়ে আসছিল। কিন্তু ওয়ার্নার তার বিখ্যাত সুইচ হিট খেলে ম্যাচটি আমাদের দলকে জেতালেন। আমি তখন ভেবেছিলাম, এটাই কি সত্যি? আমরা জিতে গেলাম?
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ আমার কাছে কেবল একটি দল নয়, এটা আমার একটি পরিচয়। এই দলের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িত। ২০১৩ সাল থেকে এই দলকে সমর্থন করছি। এরই মধ্যে অনেক অসাধারণ মুহূর্ত দেখেছি আমি, এমন মুহূর্ত যেগুলি আমি আমার জীবনভর মনে রাখব।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তার দলের স্পিরিট। আমাদের দলে রয়েছে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, যারা তরুণ খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করে। দলের সবাই একে অপরকে সহযোগিতা করে, আর এইটাই আমাদের দলকে এত শক্তিশালী করে তোলে।
আমাদের দলের কাছে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, ডেভিড ওয়ার্নার, রশীদ খানের মতো খেলোয়াড়কে আমরা দেখেছি দলকে নেতৃত্ব দিতে, আর তারা সবাই তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন খুবই ভালোভাবে। এছাড়াও দলের সঙ্গে এখন জুড়েছেন রাহুল ত্রিপাঠী, মার্করম, ভূবনেশ্বর কুমারের মতো তারকা খেলোয়াড়। এই সব অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা তরুণ খেলোয়াড়দের পথ দেখায়, আর এটা আমাদের দলকে নিয়ে যায় আরও শক্তিশালী জায়গায়।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ কেবল একটি দল নয়। এটা একটি অনুপ্রেরণা। এটা টিম স্পিরিটের এক মিসাল। এটা সাহসী এবং অধ্যবসায়ী খেলাধুলার উদাহরণ। এই দলকে ভালোবাসার আরও অনেক কারণ রয়েছে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ আমার কাছে কেবল একটি দল নয়, এটা একটি পরিচয়। আমি জানি যে আমার দলটি ভবিষ্যতে আরো অনেক ম্যাচ জিতবে, আর আমি তাদের সব ম্যাচেই আছি, তাদের পাশে।