আসছে সানস্টারের আইপিও, আর তার আগে জমে উঠেছে জিএমপি-র (グレーマーケット प्रीमियम) হাওয়া। উচ্চ আশায় বিনিয়োগকারীরা, তবে জিএমপি কতটা নির্ভরযোগ্য, আসলেই কি মুনাফার নিশ্চয়তা দেয়? আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিশ্লেষণ করব সানস্টার আইপিও জিএমপি নিয়ে, জানবো জিএমপি কতটা ভরসার যোগ্য আর বিনিয়োগের আগে কী কী বিষয় খেয়াল রাখা উচিত।
জিএমপি বা গ্রে মার্কেট প্রিমিয়াম আসলে শেয়ার বাজারে একটি ধারণা। আইপিও আসার আগে বাজারে কিছু সিন্ডিকেট বা গ্রুপিং থাকে, যারা একটি কোম্পানির শেয়ারের প্রাইস ডিসকভারী করে। এই শেয়ারের আইপিও প্রাইসের উপর ভিত্তি করে গ্রে মার্কেটে তার একটি প্রিমিয়াম নির্ধারণ হয়।
সহজ ভাষায় বললে, এই প্রিমিয়াম হল শেয়ারের আইপিও প্রাইস ও গ্রে মার্কেটে তার বর্তমান প্রাইসের মধ্যে পার্থক্য। এই পার্থক্যই হল জিএমপি। জিএমপি একটি অনানুষ্ঠানিক মূল্যায়ন, যা আইপিও পরে শেয়ারের সম্ভাব্য লাভের একটি ইঙ্গিত দেয়।
সানস্টার আইপিওর জিএমপি বর্তমানে প্রায় 120 টাকা। অর্থাৎ, আইপিও প্রাইস 94 টাকার বিপরীতে গ্রে মার্কেটে এই শেয়ার বিক্রি হচ্ছে প্রায় 214 টাকায়। এর অর্থ, যদি কেউ আইপিও প্রাইসে এই শেয়ার অ্যালট হয়, তাহলে লিস্টিং ডেতে তার লাভের সম্ভাবনা প্রায় 120 টাকা, বা শতকরা হিসাবে প্রায় 128%।
এখানেই প্রশ্ন হল, সানস্টারের এই জিএমপি কতটা নির্ভরযোগ্য? জিএমপি একটি অনানুষ্ঠানিক মূল্যায়ন এবং আইপিও লিস্টিং পরে শেয়ারের প্রাইস অনেক কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন-
এছাড়াও, গ্রে মার্কেটে জিএমপি প্রযুক্তিগতভাবে নিয়ন্ত্রণহীন এবং ম্যানিপুলেশনের সম্ভাবনাও থাকে। তাই জিএমপির উপর পুরোপুরি নির্ভর করা উচিত নয়।
সানস্টার আইপিওতে বিনিয়োগের আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত:
সানস্টার আইপিও জিএমপি একটি অনুমান মাত্র, যা কোম্পানির সম্ভাব্য লাভের ইঙ্গিত দেয়। তবে বিনিয়োগের আগে কোম্পানিকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা এবং বাজারের অবস্থা বিবেচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিএমপিকে একটি নির্দেশিকা হিসাবে ব্যবহার করলেও, বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত সর্বদা আপনার নিজের গবেষণা এবং মূল্যায়নের উপর নির্ভর করা উচিত।