স্পিকার নির্বাচন
স্পিকার নির্বাচনের দিন কাছে আসছে। নতুন স্পিকার কে হবেন, তা নিয়ে দুই দলের মধ্যেই কাড়াকাড়ি চলছে। এই সভাপতিত্বের পদটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী, তাই প্রত্যেকটি দলই তাদের মতানুযায়ী একজনকে এই পদে বসাতে মরিয়া।
আওয়ামী লীগের সূত্র অনুযায়ী, দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে তিন জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম নির্বাচন করেছেন। এই তিন প্রার্থী হলেন ফজিলাতুন্নেসা বিপাশা, নূর-এ-আলম চৌধুরী এবং এটিএম রেজাউল করিম। বিপাশা একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ২০০৯ সাল থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নূর-এ-আলম চৌধুরী একজন প্রাক্তন মন্ত্রী এবং দীর্ঘদিনের ব্যারিস্টার। তিনি ২০০১ সাল থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এটিএম রেজাউল করিম দুইবার স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবী।
অপরদিকে, বিএনপির সূত্র অনুযায়ী, দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও তিনটি সম্ভাব্য নাম নির্বাচন করেছেন। এই তিন প্রার্থী হলেন লতিফুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং হাবিবুর রহমান। লতিফুর রহমান একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তিনি একাধিকবার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একজন অভিজ্ঞ ব্যারিস্টার এবং প্রাক্তন মন্ত্রী। হাবিবুর রহমান একজন অভিজ্ঞ পেশাদার। তিনি একজন অভিজ্ঞ ব্যারিস্টার এবং প্রাক্তন মন্ত্রী।
স্পিকারের পদটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী। স্পিকার সংসদে আলোচনার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি নানা বিষয়ে রায় দেন এবং সংসদীয় কার্যসূচির মেয়াদ নির্ধারণ করেন। স্পিকারের পদটি সাংবিধানিক পদ। তাই স্পিকারের সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না।
স্পিকার নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই নির্বাচন সংসদের ভবিষ্যত কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করবে। স্পিকার নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।