সিবিএসই: বিদ্যা কিংবা কারাগার?




বিদ্যার মন্দির নাকি কারাগার, এই প্রশ্ন নিয়ে কন্ট্রোল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE) নিয়ে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক। শিক্ষার্থীদের ওপর অতিমাত্রায় চাপ, মুখস্ত বিদ্যার প্রাধান্যতা এবং সৃজনশীলতা খর্ব হওয়ার অভিযোগ উঠছে বোর্ডটির বিরুদ্ধে।

মুখস্ত বিদ্যা:

সিবিএসই পাঠ্যক্রমে মুখস্তবিদ্যাকে প্রাধান্য দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কেবল তথ্য মুখস্থ করতে হয়, বুঝতে হয় না। ফলে তাদের বিশ্লেষণ, সমালোচনা এবং সৃজনশীলতার বিকাশ ব্যাহত হয়।

চাপের পাহাড়:

সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের প্রচণ্ড চাপের কথা জানা সবারই। বিশাল পাঠ্যক্রম, কঠিন প্রশ্ন এবং উচ্চ প্রতিযোগিতা তাদের মধ্যে অতিরিক্ত মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।

সৃজনশীলতার অভাব:

সিবিএসই পাঠ্যক্রমে সৃজনশীলতাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, তাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার সুযোগ খুব কমই দেয়া হয়। ফলে তাদের সৃজনশীলতা ও সমালোচনা করার দক্ষতা সীমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বিকল্প কী?

প্রচলিত সিবিএসই সিস্টেমের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন বোর্ডের কথা উঠে আসে, যেমন আইসিএসই (ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন) এবং আইবি (ইন্টারন্যাশনাল ব্যাকালউরিয়েট)। এই বোর্ডগুলি সৃজনশীলতা, সমালোচনা এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেয়।

সিবিএসই-র সুবিধা:

তবে, সিবিএসই বোর্ডের কিছু সুবিধাও রয়েছে। এটি একটি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত বোর্ড, যা শিক্ষার্থীদের ভারত এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ প্রদান করে। পাঠ্যক্রমটিও ব্যাপক এবং সামগ্রিক, যা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের প্রাথমিক জ্ঞান प्रदान করে।

শেষ কথা:

গত কয়েক দশকে, সিবিএসই তার শিক্ষা মান নিয়ে নানা সমালোচনার মুখে পড়েছে। তবে, এটি একটি স্বীকৃত বোর্ড যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জন্য দুর্দান্ত সুযোগ প্রদান করে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের শক্তি, দুর্বলতা এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য বিবেচনা করে কোন বোর্ডটি তাদের জন্য উপযুক্ত, সেটি নির্বাচন করতে পারে। সিবিএসই বোর্ডে থাকলেও, শিক্ষার্থীরা নিজেদের সৃজনশীলতা এবং সমালোচনা দক্ষতা বিকাশে মনোযোগ দিতে পারে, যাতে তারা তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা বিকাশ করতে সক্ষম হয়।