সাবিত্রীবাঈ ফুলে জয়ন্তী




এবার সাবিত্রীবাঈ ফুলে জয়ন্তী আমাদের সামনে। প্রতি বছর ৩ জানুয়ারি ভারতে সাবিত্রীবাঈ ফুলে জয়ন্তী পালন করা হয়। এই দিনটি ভারতের শিক্ষা এবং সামাজিক সংস্কারের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সাবিত্রীবাঈ ফুলে ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা শিক্ষিকা।

প্রাসঙ্গিকতা

বর্তমানেও সাবিত্রীবাঈ ফুলে জয়ন্তী অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। ভারতে এখনো মহিলাদের শিক্ষা এবং সামাজিক ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। সাবিত্রীবাঈ ফুলে জয়ন্তী আমাদের এই বৈষম্যগুলিকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং মহিলাদের শিক্ষা এবং ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।

সমাজ সংস্কারক এবং শিক্ষানুরাগী

সাবিত্রীবাঈ ফুলে শুধুমাত্র ভারতের প্রথম মহিলা শিক্ষিকাই ছিলেন না, তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারকও ছিলেন। তিনি এবং তাঁর স্বামী জ্যোতিরাও ফুলে, দলিতদের (অস্পৃশ্যদের) অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন। তারা ভারতের প্রথম দলিত স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

সাবিত্রীবাঈ ফুলে সর্বদা বিশ্বাস করতেন যে শিক্ষাই সমাজকে বদলানোর শক্তিশালী অস্ত্র। তিনি মহিলাদের শিক্ষার প্রচারে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন, বিশেষ করে দলিত সম্প্রদায়ের মহিলাদের। তিনি বিশ্বাস করতেন যে মহিলারাও পুরুষদের সমান, এবং তাদেরও শিক্ষা ও সামাজিক অগ্রগতির অধিকার রয়েছে।

বিশেষ বৈশিষ্ট্য

  • ভারতের প্রথম মহিলা শিক্ষিকা
  • সমাজ সংস্কারক এবং দলিত অধিকার কর্মী
  • প্রথম দলিত স্কুল প্রতিষ্ঠাতা
  • মহিলাদের শিক্ষার প্রবক্তা
  • সমাজের বৈষম্যের বিরোধী

সাবিত্রীবাঈ ফুলে জয়ন্তী একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান যা তাঁর অবদান এবং ভারতীয় সমাজে তাঁর অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতাকে স্মরণ করে।

সম্মান

ভারত সরকার সাবিত্রীবাঈ ফুলেকে তাঁর সম্মানে একটি ডাকটিকিট জারি করেছে। তাঁর একটি জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে।

শেষ কথা

সাবিত্রীবাঈ ফুলে ভারতের শিক্ষা এবং সামাজিক সংস্কারের ইতিহাসে একটি অনন্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর অবদান বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণা এবং আমাদের সকলকে মহিলাদের শিক্ষা এবং সামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করার জন্য আহ্বান জানায়।