ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে জেএমএম পার্টির নাম একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছে। তবে আপনি কি জানেন জেএমএম পার্টি সম্পর্কে এই অজানা তথ্যগুলি?
জেএমএম পার্টিটি বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ট্রাইবালদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। 1938 সালে বিনোদ বিহারী মাহাতোর নেতৃত্বে গঠিত এই দলটিতে মূলত ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
শিবু সোরেনকে জেএমএম পার্টির পিতামহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি দলকে ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি বিশিষ্ট শক্তিতে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সোরেন 1972 সালে দলের সভাপতি হন এবং 2009 সালে ঝাড়খণ্ডের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
জেএমএম পার্টির মূল ভোট ভিত্তি হল ঝাড়খণ্ডের ট্রাইবাল সম্প্রদায়। দলটি ট্রাইবালদের অধিকার, সংস্কৃতি এবং স্বার্থ রক্ষার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এই মনোযোগ জেএমএমকে ঝাড়খণ্ডে জনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
জেএমএম পার্টি বিভিন্ন সময়ে বিহার ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে জোট গঠন করেছে। দুই দল একত্রে ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রভাবিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি গঠন করেছে।
জেএমএম পার্টি ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনের আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। দলটি বিহার রাজ্য থেকে ঝাড়খণ্ডকে পৃথক করার দাবিতে সক্রিয় ছিল এবং অবশেষে 2000 সালে ঝাড়খণ্ড একটি পৃথক রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।
জেএমএম পার্টি সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচির উপর একটি বড় জোর দেয়। পার্বত্য জনগণ ও দরিদ্রদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দলটি সামাজিক সম্প্রীতি প্রচারের চেষ্টা করেছে।
কিছু রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিতে জেএমএম পার্টির জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এই কেলেঙ্কারিগুলি দলের প্রতিষ্ঠা এবং তার সদস্যদের সততার উপর প্রশ্ন তুলেছে।
সময়ের সাথে সাথে জেএমএম পার্টি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজনৈতিক দৃশ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। ট্রাইবাল ভোটের সমর্থন এবং সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচির প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করে দলটি ঝাড়খণ্ডের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে।