সামির রিজভি: সমাজের প্রান্তিক জনগণের প্রকৃত বন্ধু




সমাজ-চেতনায় উজ্জ্বল নক্ষত্র সামির রিজভি

আধুনিক সমাজের নির্মম প্রতিযোগিতামূলক বাস্তবতার অন্ধকারে, এমন কিছু উজ্জ্বল মানুষ আছেন যারা প্রান্তিক জনগণের প্রতি তাদের নিঃস্বার্থ ভালবাসা এবং সেবা দিয়ে একটি আশার আলো ছড়িয়ে দেন। সামির রিজভি তেমনই এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব যিনি সারা জীবন সমাজের প্রান্তিক জনগণের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

রিজভির সমাজসেবা কিংবদন্তিতুল্য একটি গল্প, যা শুরু হয় তার শৈশবকাল থেকে। দরিদ্রতার কবলে জর্জরিত একটি পরিবারে জন্ম নিয়ে বড় হওয়া রিজভি সবসময়ই নিজের চারপাশে দুঃখ-দুর্দশা দেখেছেন। এটা তাকে প্রভাবিত করেছে এবং তিনি অনুধাবন করেছেন যে, তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য হল এই প্রান্তিক জনগণের জীবনকে আরও ভালো করা।

তরুণ বয়সেই রিজভি সামাজিক কাজে জড়িত হন। তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সাথে কাজ করেছেন, ঘরহীনদের আশ্রয়স্থল পরিচালনা করেছেন এবং গরিব শিশুদের শিক্ষার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। সমাজসেবায় তাঁর অদম্য আবেগ এবং অক্লান্ত পরিশ্রম তাকে সামাজিক নেতৃস্থানীয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

রিজভি যেসব প্রকল্পে জড়িত ছিলেন তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হল একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা যা ঘরহীন এবং প্রান্তিক জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। স্বাস্থ্যসেবা অ্যাক্সেস করার ক্ষেত্রে তাঁর অভিজ্ঞতার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি এই কেন্দ্রটি চালু করেছিলেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধ এবং পরামর্শ দেওয়া হয় যারা নিজেদের খরচও চালাতে পারেন না।

রিজভির সমাজসেবা শুধুমাত্র প্রান্তিক জনগণকে সাহায্য করার চেয়েও বড় কিছু। তিনি এমন একটি সামাজিক আন্দোলন তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা সমাজের অন্য সদস্যদেরকে প্রান্তিক জনগণের কল্যাণে এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করবে। তাঁর আন্দোলন "একতায় শক্তি" এই ভাবধারায় বিশ্বাস করে যে, যখন আমরা একসাথে আসি তখন আমরা সমাজে একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারি।

রিজভির কাজ স্থানীয় ও জাতীয় উভয় পর্যায়ে স্বীকৃত হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। তাঁর প্রচেষ্টার কথা বড় বড় সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।

সামির রিজভি সমাজের প্রান্তিক জনগণের একজন প্রকৃত বন্ধু। তাঁর নিঃস্বার্থ ভালবাসা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি প্রান্তিক জনগণের জীবনকে আরও ভালো করেছেন। তিনি আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেন যে, আমরা যদি সম্মিলিতভাবে কাজ করি, তবে আমরা একটি আরও সামাজিকভাবে ন্যায্য এবং সমান সমাজ তৈরি করতে পারি।

রিজভির প্রেরণাদায়ী জীবনের গল্প আমাদের সবাইকে সমাজের প্রান্তিক জনগণের কল্যাণে এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করে। আসুন আমরা সবাই একসাথে জড়ো হই এই মহান মানুষের পদাঙ্ক অনুসরণ করি এবং আমাদের সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনি।