সময় বেঁচে যাওয়ার অদ্ভুত উপায়




আমরা প্রায় সবাই সময়ের খড়ায় ঘুরে বেড়াই। করার কাজ অনেক, কিন্তু দিনে মাত্র ২৪ ঘন্টা! সময় বাঁচানোর জন্য আমরা যা যা করি, তাতেও সবসময় কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসে না। আজ কিছু অদ্ভুত কিন্তু কার্যকর উপায় দিচ্ছি আপনাকে, যাতে আপনি সময় বাঁচিয়ে আরও উৎপাদনশীল হয়ে উঠতে পারেন-

১. সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কম সময় ব্যয় করুন

আপনি কি জানেন, আপনি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টুইটারে প্রতিদিন গড়ে কত সময় ব্যয় করেন? হয়তো আপনি মনে করেন, দু’এক ঘন্টা। কিন্তু গবেষণা বলছে, আমরা দিনে প্রায় তিন ঘন্টা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কাটাই! এতটা সময় বিশ্রাম বা শখের কাজে ব্যয় করলে হতো আরও ভালো, তাই না?

২. একবারে একটি কাজ করুন

একসঙ্গে একাধিক কাজ করার প্রবণতা আমাদের মস্তিষ্কের উপর বোঝা সৃষ্টি করে। এর ফলে শুধু কাজের গুণমান কমে না, সময়ও অনেক বেশি নষ্ট হয়। তাই একবারে একটি কাজ করুন এবং তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কাজে হাত দেবেন না।

৩. জিনিসগুলোকে বিন্যস্ত রাখুন

যখন আপনার কাজের টেবিল বা ঘরটি বিন্যস্ত থাকে, তখন কিছু খুঁজতেই দীর্ঘক্ষণ সময় চলে যায়। তাই নিজেকে একটি নিয়ম করে দিন যে, প্রতিদিন কাজের শেষে আপনার টেবিল এবং ঘরটি বিন্যস্ত করবেন। এটি আপনাকে সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে এবং আপনার মনও প্রফুল্ল থাকবে।

৪. প্রযুক্তি ব্যবহার করুন

প্রযুক্তি আমাদের সময় বাঁচাতে সাহায্য করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। তাই এর সদ্ব্যবহার করুন। আপনার কাজের স্বয়ংক্রিয়করণের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ এবং টুল ব্যবহার করুন। এগুলো আপনাকে সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে এবং আপনার উৎপাদনশীলতাও বাড়বে।

৫. বড় কাজগুলোকে ছোট ছোট টুকরোতে ভাগ করুন

যখন আপনার সামনে একটি বড় কাজ থাকে, তখন এটিতে হাত দিতেও আপনার ভয় লাগে। ফলে সেটি পিছিয়ে যায় এবং আপনার সময় নষ্ট হয়। তাই বড় কাজগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করুন। এটি আপনাকে কাজটি শুরু করতে এবং সহজে শেষ করতে সাহায্য করবে।

৬. না বলতে শিখুন

আমরা প্রায়ই এমন অনেক কাজ করতে রাজি হয়ে যাই, যা আমাদের করারই উচিত নয়। ফলে আমাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো পিছিয়ে যায়। তাই না বলতে শিখুন। যদি আপনার কোনো কাজ করতে ইচ্ছে না হয় বা সময় না থাকে, তাহলে স্পষ্টভাবে না বলে দিন।

৭. বিরতি নিন

আপনি কি জানেন, নিয়মিত বিরতি নেওয়া আপনাকে সময় বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে? যখন আপনি কাজ করেন, তখন আপনার মস্তিষ্ক ক্রমাগত তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে। কিছু সময় পরে, আপনার মনোযোগ ক্ষীণ হয়ে যায় এবং আপনার উৎপাদনশীলতা কমে যায়। তাই প্রতি ঘন্টায় বা দুই ঘন্টায় ১০-১৫ মিনিটের বিরতি নিন। এটি আপনার মস্তিষ্ককে রিফ্রেশ করবে এবং আপনার উৎপাদনশীলতা বাড়বে।

৮. ঘুমের গুরুত্ব বুঝুন

যখন আপনি ভালোভাবে ঘুমান, তখন আপনার মন প্রফুল্ল থাকে এবং আপনি আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারেন। অন্যদিকে, ঘুমের অভাব আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ধীর করে দেয় এবং আপনার উৎপাদনশীলতা কমে যায়। তাই প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

৯. সুबह তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন

যারা সুबह তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠেন, তারা আরও বেশি উৎপাদনশীল হন। কারণ, সকালের সময়টি সাধারণত শান্ত এবং অশান্তিমুক্ত হয়, যা কাজের জন্য আদর্শ সময়।

১০. লক্ষ্য স্থির করুন

যদি আপনার明確 লক্ষ্য না থাকে, তাহলে আপনি আসলে কী করতে চান তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন। এর ফলে আপনার সময় নষ্ট হবে এবং আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবেন। তাই স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করুন।