স্যাম পিট্রোডা: একজন ভারতীয়-আমেরিকান উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকের জীবন ও প্রভাব




স্যাম পিট্রোডা: তথ্যপ্রযুক্তির জনক
স্যাম পিট্রোডা একজন বিখ্যাত ভারতীয়-আমেরিকান উদ্যোক্তা এবং নীতিনির্ধারক, যিনি ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের পথ প্রদর্শক। তিনি তার অসাধারণ কাজ এবং ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তার অবদানের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
স্যাম পিট্রোডা ১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি ওড়িশার জাজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা ইনস্টিটিউট, খড়গপুর থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি শিকাগোর ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে টেলিযোগাযোগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন ও অবদান
পিট্রোডা তার কর্মজীবন শুরু করেন ভারতীয় টেলিযোগাযোগ সংস্থা পি এন্ড টিতে। তিনি টেলিকম সিস্টেমে অগ্রণী গবেষণা এবং উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করেছিলেন, যা পরবর্তীতে ভারতে টেলিযোগাযোগ বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
১৯৮৪ সালে, পিট্রোডাকে ভারত সরকারের টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এই ভূমিকায় তিনি ভারতের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণ এবং প্রসারে অত্যন্ত প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি দূরবীক্ষণ এবং মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
সেটু স্যাম পিট্রোডা সেন্টার ফর নলেজ অ্যান্ড এডুকেশন
২০০৯ সালে, পিট্রোডা গান্ধীনগরে সেটু স্যাম পিট্রোডা সেন্টার ফর নলেজ অ্যান্ড এডুকেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবন, শিক্ষা এবং গবেষণাকে উৎসাহিত করার জন্য স্থাপন করা হয়েছে। কেন্দ্রটি তথ্যপ্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিতে মনোনিবেশ করে।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
পিট্রোডার কাজ এবং অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে অসংখ্য পুরস্কার এবং স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তার কিছু উল্লেখযোগ্য পুরষ্কারের মধ্যে রয়েছে:
* ভারত সরকার থেকে পদ্মভূষণ (2009)
* মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার থেকে পদক অফ অনার (2010)
* ওড়িশা সরকার থেকে সর্বোচ্চ রাজ্য পুরস্কার (2013)
ব্যক্তিগত জীবন
পিট্রোডা তার স্ত্রী রুচিরা পিট্রোডার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেন। তাদের দুই কন্যা আছে।
উত্তরাধিকার
স্যাম পিট্রোডা ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের স্থপত্যদের একজন হিসাবে স্মরণ করা হবে। তার কাজ এবং উদ্ভাবন ভারতকে একটি বিশ্ব নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করেছে। তার উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের এবং নীতিনির্ধারকদেরকে অনুপ্রাণিত করতে অবিরত থাকবে।