বিশ্বকাপ জয়ের পর এখন আরেকটি বিশেষ ট্রফি জয়ের সুযোগের সামনে ইংল্যান্ড। ভারতের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া এই সিরিজটিই তাদের সেই লক্ষ্য পূরণের পথে অন্তরায়। টেস্ট সিরিজটিতে একটি ম্যাচে ইংরেজরা ইতিমধ্যেই 2-0 এ এগিয়ে। ভারতীয় দলকে নিজেদের মাটিতে হারানোর ইতিহাস যথেষ্ট সুগভীর। তাই আবারও তাদের বিরুদ্ধে সুবিধাজনক এই সিরিজ জিততে চায় ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড এই সিরিজটিতে বেশ শক্তিশালী দল নিয়ে এসেছে। জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, বেন স্টোকসের মতো ম্যাচ উইনারদের উপস্থিতি আছে দলে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তারা দেখিয়ে দিয়েছে ব্যাট হাতে তাদের ধারে কাছে নেই কেউ। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন স্টোকস যখন অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করছেন, তখন ইংল্যান্ডের সুবিধা আরও বাড়ে।
বিশ্বকাপ বিজয়ী ভারতীয় দল তাদের মাটিতে শুরুর থেকেই দুর্দান্ত খেলছিল। কিন্তু সিরিজ শুরুর আগে তাদের অনেকটা দুর্বল অবস্থায় ফেলে দেয় দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলির ব্যক্তিগত কারণে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা। তার জায়গায় রাহুল দ্রাবিড়কে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ করা হলেও তা সত্ত্বেও দলের মনোবল কিছুটা দুর্বল। তাছাড়া দল সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি মাটিতে কেমন খেলছে তা তাদের উদ্বিগ্ন করার কারণ।
ভারতের বিরুদ্ধে এই টেস্ট সিরিজ জিতলে প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার সুযোগ পাচ্ছে ইংল্যান্ড। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য সিরিজ জয় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিপক্ষে আছে ভারত, স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা তাদের পक्षে। এই সিরিজটি দুই দলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম ম্যাচের জয়ের পর ইংল্যান্ড এখন পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। সোমবার শুরু হওয়া ম্যাচটিতে ভারতকে হারানোর লক্ষ্যই থাকবে তাদের। সেখানে সামনে দাঁড়াবে কঠিন প্রতিপক্ষ ভারত। এই সিরিজের প্রতিটি ম্যাচই দুই দলের লড়াইয়ের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করবে।
ভারতীয় দলের জন্য এই সিরিজটি তাদের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করার একটি সুযোগ। স্বাগতিক সুবিধার সদ্ব্যবহার করে কিভাবে তারা নিজেদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে সেটিই এখন দেখার বিষয়। সিরিজের বাকি ম্যাচে হয়তো ভারতের পক্ষে আসবে দর্শকদের সমর্থন। সেই সমর্থনকে ভরসা করে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এই সিরিজে ফিরতে চাইবে তারা। যদিও সেটা কতটা সম্ভব সময়ই বা বলবে।