সুরণ্ডেড বাই আমার রাণী জেইন




একটি আকর্ষণীয় শব্দবন্ধ দিয়ে লেখকের জার্নি শুরু হয় এবং পাঠকদের মনোযোগ তাঁর দিকে আকর্ষণ করে।
এখানে, গল্পটি একটি চরিত্রের চারপাশে ঘোরে যিনি একটি অদ্ভুত গোলকধাঁধার মুখোমুখি হয়েছেন: তার ঘরের চারপাশের চারটি দেয়াল ক্রমাগত তার অবস্থান পরিবর্তন করছে।
"আমি যখন প্রথমে দেখতে পেলাম যে আমার ঘরের দেয়ালগুলি গতিশীল হয়ে উঠেছে, তখন আমি ভেবেছিলাম আমার চোখের ভুল হচ্ছে৷ কিন্তু যখন আরও বেশি চেষ্টা করে দেখলাম, তখন বুঝলাম যে এটা সত্যিই ঘটছে।"
গল্পটি চরিত্রের এই বিভ্রান্তি এবং হতবাক হওয়ার অনুভূতির অভিব্যক্তি দিয়ে শুরু হয়৷ তার অনুভূতির প্রতিবেদন করার মাধ্যমে, লেখক পাঠকদের সরাসরি কাহিনীর ভেতরে টেনে আনে।
ঘটনাটির কারণগুলিকে ব্যাখ্যা করার পরিবর্তে, লেখক পাঠকদের অনুমান করার সুযোগ দেয় এবং তাদের গল্পের মধ্যে আরও বেশি আকর্ষিত হওয়ার জন্য তাদের কল্পনাশক্তি ব্যবহার করতে উৎসাহ দেয়।
"আমাকে প্রথমে ধারণা হয়েছিল যে এটি একটি প্রকারের অপটিক্যাল ইলিউশন হতে পারে৷ কিন্তু যখন আমি চারপাশে ঘুরে দেখলাম, তখন আমার উপলব্ধি হল যে সব কিছুই আমার সাথে ঘটছিল৷ আমি যে ঘরটিকে স্থির বলে জানতাম, তা এখন আমার চারপাশে প্রবাহিত হচ্ছিল৷"
চরিত্রটি ঘটনাটিকে বুঝতে এবং এর প্রভাবগুলি মোকাবেলা করতে চেষ্টা করার সাথে সাথে গল্পটি এগিয়ে যায়৷ লেখক এই আবিষ্কারের ভয়, বিস্ময় এবং অনিশ্চয়তা বর্ণনা করতে ইন্দ্রিয়গত বিশদ এবং জীবন্ত উপমা ব্যবহার করেন।
"এমন অনুভূতি হচ্ছিল যেন আমি একটা রোলার কোস্টারের ভেতরে আটকে আছি, তবে কোনও নির্দিষ্ট গন্তব্য ছিল না৷ আমার ঘর যেভাবে আমার চারদিকে ঘুরছিল তাতে আমি ভারসাম্য রক্ষা করতে এবং আমার আশপাশকে চিনতে হিমশিম খাচ্ছিলাম৷"
এই আকর্ষণীয় বর্ণনা পাঠককে চরিত্রের অভিজ্ঞতার অনুভূতি প্রদান করে এবং তাদের এই বিভ্রান্তিকর এবং অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে টেনে আনে।
গল্পটি চরিত্রের এই অদ্ভুত ঘটনাটির সাথে মানিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার দিকে এগিয়ে যায়। তিনি নিজেকে নিউরোলজিস্টদের দেখান এবং বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশ নেন, কিন্তু কিছুই তাদের এই রহস্যের সুরাহা করতে পারে না।
"আমি যত বেশি চেষ্টা করতাম, ততই হতাশ হতাম৷ আমি একজন উপহাসের মতো অনুভব করছিলাম, কারণ আমি যা দেখছিলাম এবং অনুভব করছিলাম তা কেউই বিশ্বাস করছিল না৷ এটি এমন একটি গোলকধাঁধার মতো হয়ে উঠেছিল যার কোনও সমাধান ছিল না৷"
চরিত্রের হতাশা এবং একাকীত্বের অনুভূতি পাঠকদের তার স্থানে রাখে, তার লড়াই এবং আশা হারানোর ভয়ের জন্য সহানুভূতি জাগায়।
গল্পটি চরিত্রের এই অন্ধকার এবং হতাশার সময়ের অনুসন্ধান করে। তিনি নিজেকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন, এই বিপরীত পরিস্থিতির অর্থ কী এবং তিনি এর মধ্যে নিজের উদ্দেশ্য কীভাবে খুঁজে পাবেন।
"আমি নিজেকে শেখার জন্য তৈরি একটি ক্যানভাস হিসাবে দেখতে শুরু করেছি৷ প্রতিটি অভিজ্ঞতা, প্রতিটি ধাক্কা, আমাকে আমার ধারণাগুলির সীমানা পরীক্ষা করতে এবং বিশ্বকে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে বাধ্য করে৷"
গল্পটি চরিত্রের এই পরিবর্তনের বর্ণনা দিয়ে শেষ হয়, কারণ তিনি এই অদ্ভুত ঘটনাকে তার জীবনের একটি ইতিবাচক দিক হিসাবে দেখতে শুরু করেন। তিনি বুঝতে পারেন যে এই অভিজ্ঞতা তাকে শক্তিশালী করেছে এবং তার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রশস্ত করেছে।
"আমার ঘরের দেয়ালগুলি যতই চলুক না কেন, আমার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ কম্পাস থাকবে৷ আমি আমার নিজস্ব গতিতে চলব এবং আমার নিজস্ব পথে আবিষ্কার করব৷ কারণ আমি এখন বুঝতে পেরেছি যে, এটি আমার জীবন, এবং এটি আমার করতে হবে৷"
গল্পটি একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়ে শেষ হয়, যেখানে পাঠকদের স্মরণ করানো হয় যে জীবন চ্যালেঞ্জে ভরা হতে পারে, তবে এই চ্যালেঞ্জগুলি আমাদেরকে শক্তিশালী করে এবং আমাদের সত্যিকারের নিজেকে খুঁজে পেতে সহায়তা করতে পারে।