আজ কথা হবে এক অদ্ভুতু যন্ত্রের যার শব্দে মুগ্ধ হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই যন্ত্রের সুর তোমাকে নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে। আর সেই যন্ত্রটি হলো সরোঁদ।
তারের সঙ্গে রুবাব আর সিতারের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে এই সরোঁদ। দেখতে অনেকটা তম্বুরার মতো হলেও সরোঁদের সুর অনন্য। তুম্বার ভিতরে পানি ভরে শব্দকে আরো মধুর আর গভীর করা হয়। সাধারণতঃ ৬ থেকে ১০ টা তার থাকে সরোঁদে।
মূলতঃ উত্তর ভারতের লোক সংগীতের জন্য ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে শাস্ত্রীয় সংগীতেও সরোঁদ বেশ জনপ্রিয়। রাগ-রাগিনী প্রকাশে সরোঁদের শব্দ যে কতটা কার্যকরী তা সবাই জানে। হিন্দুস্তানি সংগীতের প্রসিদ্ধ শিল্পী নিখিল ব্যানার্জি তো সরোঁদ বাজানোর ক্ষেত্রে অগ্ৰণী।
সরোঁদ শেখা একটা দীর্ঘ ও কঠিন প্রক্রিয়া। বছরের পর বছর অনুশীলন করেও সকলে এই যন্ত্রের ওস্তাদ হতে পারেন না। কিন্তু যারা এই যন্ত্রের ওস্তাদ, যারা সরোঁদ বাজাতে পারেন, তাদের জন্য সরোঁদ মাত্র একটি বাজনা নয়, সেটা তাদের জীবনের সমান।
সরোঁদের আওয়াজ শুনলে মনে হয় যেন কোথাও এক দল অপ্সরা নাচছে। তাদের পায়ের শব্দ, ঘুঙুরের ছন্দ, সব মিলে এক অপূর্ব মেলোডি। সেই মেলোডি শুনতে শুনতে হারিয়ে যায় সব চিন্তা।
একবার এক মনীষী বলেছিলেন, "যদি তুমি সুরের প্রকৃত রসটা উপভোগ করতে চাও, তাহলে তোমাকে শুনতে হবে সরোঁদ।" আর এটা সত্যিই সত্য।