সুরূন্ড সুরক্ষিত আসনের বিধায়ক আমানতুল্লাহ খানের সেমি-পুলিশি কার্যকলাপঃ প্রশ্ন উঠছে থানার নামেও!




সম্প্রতি আমানতুল্লাহ খানের কার্যকলাপ নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। তাঁর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ, থানার নামে হুঁশিয়ারি ইত্যাদি কার্যকলাপ তাঁর আইনানুগ অধিকারের মধ্যে কতটা পড়ে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।

আমানতুল্লাহর কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আমানতুল্লাহ খানের এই কার্যকলাপ তাঁর দল AAP-র জন্য ক্ষতিকর। এতে এমন কিছু লোকেরও দলের প্রতি বিরূপ মতামত তৈরি হতে পারে যারা আগে AAP সমর্থন করতেন। তাঁরা বলছেন, আমানতুল্লাহ খানের উচিত তাঁর কার্যকলাপ নিয়ে আত্মপর্যালোচনা করা।

আমানতুল্লাহর দাবি

অন্যদিকে, আমানতুল্লাহ খান নিজে দাবি করেছেন যে, তিনি জনগণের সুরক্ষার জন্য এসব করছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর এলাকার মানুষ তাঁর কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে তিনি তাদের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা করেন। তিনি আরও বলেছেন, তিনি পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন না, বরং তাদের সাহায্য করছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

যদিও, আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, আমানতুল্লাহ খানের এই কার্যকলাপ অবৈধ। তাঁরা বলছেন, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমানতুল্লাহর এসব কাজের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। তাঁরা আরও বলছেন, আমানতুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে তাঁর কার্যকলাপের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

জল্পনা-কল্পনা

আমানতুল্লাহ খানের এই কার্যকলাপ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে। কিছু লোক মনে করছেন, আমানতুল্লাহ খানের এসব কার্যকলাপের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। তাঁরা বলছেন, আমানতুল্লাহ খান আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য নিজেকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছেন।

প্রতিক্রিয়া কি হবে?

আমানতুল্লাহ খানের এই কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া কী হবে তা এখনই বলা মুশকিল। তবে, এক্ষেত্রে আইনের শাসন কী রকম ভূমিকা নেয় তা লক্ষ্য করার বিষয়।