আমি ছোট ছিলাম যখন শনিবার মানে ছিল সারা দিন সাড়ি পরার দিন। স্কুলেও এই বিষয়টি সাংঘাতিক ভাবে মেনে চলা হতো। স্কুল ফিরে একটু স্নানকরা আর খাওয়া দাওয়া সেরে আমি সাড়ি পরতাম। সাড়ি পরে ঘরের সামনে একপ্রস্থ দাঁড়িয়ে থাকতাম। কখনো কখনো প্রতিবেশীরা একটু হাসাহাসি করত, আমার ভিশন ব্যাটন হতো সে সময়।
একটু বড় হওয়ার পর থেকে শনিবার দিন সাড়ি পরার ব্যাপার টা বন্ধ হয়ে গেল। তবে নিজের বিয়ে হবার পরে একটু একটু করে শনিবারে সাড়ি পরা শুরু করলাম। আবার একটা নতুন রুটিন শুরু হলো।
এখন হয়তো মনে হচ্ছে এত সাড়ি পরা কেনো? সাড়ি মানে কি কেবল সাজ? না, সাড়ি মানে একটা প্রথা, একটা সমাজিক রীতিনীতি। এই নিয়মটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। আগেকার দিনে মেয়েরা শনিবার জামাই বাবার বাড়ি যেতো। কিছু নিয়মকানুন ছিল সে সময়টাতে, সে সময় শাশুড়ির সামনে অনেক বড়োদের উপস্থিত থাকতো। সেই সময় নতুন বউয়েরা সাড়ি পরতো। এই নিয়মটা এখনও আমাদের সমাজে চলে আসে। সত্যিকার অর্থে শনিবারে সাড়ি পরা মানে সম্মান, শ্রদ্ধা এবং কেয়ারিং এর একটা প্রকাশ।
শনিবার সাড়ি পরে ঘরের কাজ করি, জানো মনে একটা আনন্দ হয়। যখন শাড়ি পরা হয় তখনই একটা ভালো লাগার অনুভুতি হয়। আমার মনে হয় মেয়েদের শিশুকাল থেকেই শনিবার সাড়ি পরার অভ্যাস করাটা উচিত। এতে করে পরে বড় হয়ে এই রীতিনীতিটা ভালো ভাবে ফলো করবে।
শনিবার সাড়ি পরার কিছু বেনিফিট:শনিবার সাড়ি পরাটা হলো একটা আনন্দের ব্যাপার। এটা আমাদের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের একটা অংশ। আমাদের এই প্রথা টিকিয়ে রাখা উচিত।
কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে কেনো শনিবার সাড়ি পরো তাহলে বলবেন, "কারণ আমি আমার সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে ভালোবাসি।"