হকি ইন্ডিয়া লিগ




পরিবর্তিত হয়েছে কি হকি ইন্ডিয়া লিগ?
আমাদের জাতীয় দলের অন্যতম সেরা সময় চলছে এখন। গত বছর এফআইএইচ পুরুষ বিশ্বকাপে রূপো জিতে সেরার অধিকার দাবি করেছেন পিআর শ্রীজেশরা। অলিম্পিকে পদক জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলছে দল। তবে এখনও বাণিজ্যিক সফলতার চুড়ায় উঠতে পারেনি ভারত। যে কারণে সাত বছর আগে শুরু হওয়া হকি ইন্ডিয়া লিগের (এইচআইএল) վ্যাপক প্রত্যাশার কথা ছিল। কিন্তু মাত্র তিনটি আসরের পরই সংগঠনটি ভেঙে যায়।
এবারে ফের নতুন রূপে ফিরল হকি ইন্ডিয়া লিগ। গত দেড় মাস আগে এইচআইএলের নিলামে মোট ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল তৈরি করা হয়। কিন্তু এই দল গঠনের জন্য কোনও মেলবন্ধন আছে বলে মনে হচ্ছে না। ভারতীয় দলের অধিকাংশ সদস্যই রয়েছেন দুটি দলে। সে কারণে অন্য দলগুলির উপর চাপ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যদি খেলোয়াড়রা আহত হয়, তা হলে কী হবে দলের অবস্থা? হয়তো এইচআইএল শুরুর আগে দলগুলি এ নিয়ে কথা বলে ঠিক করে নিয়েছে। তবে তা প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। যে কারণে সন্দেহের জন্ম হয়েছে।
অন্যদিকে দলগুলি রংবেরঙের জার্সি পরে নেমেছে মাঠে। কিন্তু এই জার্সি ঠিক কারা পরবেন, তা বলতে পারছেন না নিজেরাই। এইচআইএল কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, ''আগামী কয়েক ম্যাচের পরপরই সব দলের সাবস্টিটিউট খেলোয়াড়রা কী রংয়ের জার্সি পরবেন, তা ঠিক করা হবে।'' শুধু জার্সি নয়, খেলার সময়সূচিও হালনাগাদ করা হচ্ছে। স্নোপোল লিগে বরফ থাকলে যে ভাবে টাইমিং বদলানো হয়, সে ভাবেই স্টেডিয়ামে হঠাৎ বৃষ্টি উঠলে সেই সময়সূচি অনুযায়ীই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড দলগুলিকে ফল ঘোষণা করতে বাধ্য করছে।
এইচআইএলের নিলামে হেট্রিকে কেনা তেজিন্দর পাল সিং সিন্ধুর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি একটাও প্রশ্নের জবাব দেননি। কারণ তিনি কিছুই জানেন না। অথচ তিনিই এইচআইএলের ডিরেক্টর। জিজ্ঞাসা করা হলে, ''এইচআইএল কি এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি?'' তিনি হাসতে হাসতে উত্তর দেন, ''হ্যাঁ, হয়তো কিছুটা বাকি আছে।'' এমন হালচালে বোঝাই যাচ্ছে, এইচআইএল এখনও অনেক পথ যেতে হবে।