আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে হিনডেনবার্গ রিপোর্টটি একটি বড় ঘটনা। এই রিপোর্টের কারণে আদানির শেয়ারের দাম ভয়াবহভাবে পতন হয়েছে। রিপোর্টে আদানি গ্রুপের উপর একটি সিরিজ অভিযোগ করা হয়েছে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কর ফাঁকি, মূল্য স্ফীতি এবং স্টক ম্যানিপুলেশন।
হিনডেনবার্গ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আদানি গ্রুপটি ভারতের "সবচেয়ে বড় কর ফাঁকি" জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। এই গ্রুপটি অপশোর ট্যাক্স হেভেনগুলির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, যাতে করের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
রিপোর্টে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন শাখায় স্টকের মূল্যের স্ফীতি ঘটিয়েছে। এটি "সার্কুলার ট্রেডিং"と呼ばれる পদ্ধতির মাধ্যমে করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, যার মধ্যে আদানির নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থাগুলো একে অপরের শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি করে।
হিনডেনবার্গ রিপোর্টটি ব্যাপক সন্দেহ ও অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। দেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত সংস্থা হিসাবে গণ্য করা হওয়া আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে এই মাত্রায় অভিযোগ আনা অভূতপূর্ব। এই রিপোর্টের ফলে আদানি গ্রুপের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, পাশাপাশি ভারতীয় শেয়ার বাজারের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আদানি গ্রুপ হিনডেনবার্গ রিপোর্টকে "মিথ্যা" এবং "দুষ্কর্মের" একটি অংশ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এই গ্রুপটি নিজেকে "শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তি এবং স্বচ্ছ কর অভ্যাসের" একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে বর্ণনা করেছে। অধিকন্তু, এই গ্রুপটি বলেছে যে সে "যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করবে" এবং "মিথ্যা ও অসত্য অভিযোগগুলোর বিরুদ্ধে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে"।
হিনডেনবার্গ রিপোর্টের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কী হবে তা এখনও অস্পষ্ট। তবে এই রিপোর্ট নিঃসন্দেহে ভারতের ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক দৃশ্যপটে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান সেবী হিনডেনবার্গ রিপোর্টের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং তারা কী পায় তা দেখা বাকি আছে।