ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসাবে হেমন্ত সরেনের উত্থান রাজ্যের জন্য নতুন দিগন্তের দিশা দেখিয়েছে। তাঁর অদম্য সংকল্প এবং স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ঝাড়খণ্ডের উন্নতির একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।
প্রাথমিক জীবন থেকেই হেমন্ত সরেনের মধ্যে প্রগতিশীল চিন্তাধারার সূত্রপাত হয়। তিনি বরাবরই দলিত এবং উপজাতিদের অধিকার নিয়ে কথা বলেছেন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করতে বিশ্বাস করেন। রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগে তিনি একজন যুক্তিবাদী এবং সামাজিক কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন।
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এ যোগদানের পরে, হেমন্ত সরেন দ্রুতই রাজ্য রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী। এই ভূমিকায় তিনি ঝাড়খণ্ডের জনগণের জীবনমান উন্নত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
২০১৯ সালে, হেমন্ত সরেন ঝাড়খণ্ডের ১১তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন। তাঁর নেতৃত্বে রাজ্যটি উন্নয়নের একটি নতুন পথে অগ্রসর হচ্ছে। তাঁর অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতি। তিনি ঝাড়খণ্ডকে একটি শিল্প কেন্দ্রে পরিণত করার জন্যও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
হেমন্ত সরেনের নেতৃত্বে, ঝাড়খণ্ডের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখেছে। তিনি রাজ্যে বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছেন এবং সুশাসন নিশ্চিত করেছেন। ঝাড়খণ্ড এখন দেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল রাজ্যগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে।
সরেন একটি সামাজিক ন্যায়বিচারের পথিকৃৎ। তিনি দলিত এবং উপজাতিদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করেছেন। তিনি ঝাড়খণ্ডে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সাম্য নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
হেমন্ত সরেনের নেতৃত্ব ঝাড়খণ্ডের জন্য আশার রশ্মি এনেছে। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এবং সংকল্প রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তিনি সত্যিই ঝাড়খণ্ডের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নির্মাতা।