হ্যাপি হোলি ২০২৪




হোলি, হিন্দুদের কাছে আনন্দের এবং বর্ণের একটি উজ্জ্বল উৎসব, প্রতি বছর হাজার হাজার লোকের মধ্যে আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেয়। ২০২৪ সালের হোলি উৎসব চিহ্নিত হবে ৮ মার্চ সোমবার, এবং এটি আমাদের জন্য আবারও বর্ণের সাথে খেলাধুলা এবং প্রিয়জনদের সাথে মজা করার সময় নিয়ে এসেছে।

হোলির উৎপত্তি রয়েছে প্রাচীন ভারতীয় পুরাণে। কথিত আছে যে অসুর হিরণ্যকশিপু তার পুত্র প্রহ্লাদকে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করতে অস্বীকার করার জন্য দণ্ড দিতে চেয়েছিলেন। হিরণ্যকশিপুর বোন হোলিকা প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে আগুনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিষ্ণু প্রহ্লাদকে রক্ষা করেছিলেন এবং হোলিকা পুড়ে গিয়েছিলেন। হোলিকার দুষ্টতার বিরুদ্ধে বিষ্ণুর বিজয়ের স্মৃতিতে হোলি উৎসব পালিত হয়।

যুগ যুগ ধরে হোলির উদযাপন পদ্ধতিতে বৈচিত্র এসেছে, কিন্তু কিছু প্রথা সারা ভারতে সাধারণ। উৎসবটি দু'দিন ধরে পালন করা হয়: হোলিকা দহন এবং রঙ্গপঞ্চমী। হোলিকা দহনের আগের দিন কাঠ এবং জ্বালানি দিয়ে একটি বড় আগুন জ্বালানো হয়। লোকেরা আগুনের চারপাশে জড়ো হয় এবং গান গায়, নাচে এবং আগুনে হোলিকা প্রতীক হিসেবে বাতাসে উড়িয়ে দেয় একটি মূর্তি।

রঙ্গপঞ্চমী হল হোলির দ্বিতীয় দিন, যখন লোকেরা রঙিন গুঁড়ো এবং পানি ব্যবহার করে একসাথে খেলাধুলা করে। তারা একে অপরের মুখে এবং দেহে রঙ ছুঁড়ে এবং পানি ছিটানোর মাধ্যমে আনন্দ করে। হোলির রঙগুলি দুষ্টতা এবং খারাপ শক্তির বিরুদ্ধে বিজয়ের প্রতীক।

ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে হোলির উদযাপন পদ্ধতিতে কিছু বৈচিত্র রয়েছে। উত্তর ভারতে, উৎসবটি "লঠমার হোলি" নামে পরিচিত, যেখানে মহিলারা পুরুষদেরকে রঙিন বাঁশের লাঠি দিয়ে মারে। বৃন্দাবন এবং মথুরায়, হোলি "লঠমার হোলি" এবং "ফুলেন্দু হোলি" সহ একাধিক দিন ধরে বিস্তৃতভাবে উদযাপন করা হয়।

হোলি কেবল একটি উৎসবই নয়, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি সম্প্রীতি, ভ্রাতৃভাব এবং আনন্দের প্রতীক। এটি এমন একটি দিন যখন সকলেই তাদের মতভেদ ভুলে গিয়ে রঙের উজ্জ্বল স্রোতে একসাথে এক হয়ে যায়।

তাই প্রস্তুত হোন ২০২৪ সালের হোলির উজ্জ্বল রঙ এবং আনন্দের জন্য। আপনার প্রিয়জনদের সাথে মজা করুন, রঙ খেলুন এবং এই সুন্দর উৎসবটি আনন্দের সাথে উদযাপন করুন। হ্যাপি হোলি!