হীরামণ্ডি রিভিউ




মানুষের সবচেয়ে কাছের মানুষের সাথে প্রতারণা করা সত্যিই অমানবিক।

দেখুন, মানুষ প্রেমে পড়ে, আবার ভালোবাসাও ভাঙে। দেখুন, এই প্রেমের ব্যাপারটা খুবই কমপ্লিকেটেড। এই সম্পর্কের ব্যাপারটাও তাই। কেউ একবার রাগের বসে বিয়ে করে ফেলে কারোর সাথে। কেউ আবার জোরাজুরিতে বা পরিস্থিতিবশত বিয়ে করে। এসবই হচ্ছে মানবিক আর অমানবিক ব্যাপার।

তবে সবকিছুর পরেও সত্যিটা সত্যিই রয়ে যায়। আর সেটা হচ্ছে, কেউই কারোর প্রেমে পড়ার জন্য জন্মায় না। কেউই কারোর জীবনে এসে প্রতারণা করার জন্য জন্মায় না। তবে আজকের সমাজে এটাই হচ্ছে সত্য।

হীরামণ্ডি ওয়েব সিরিজটি দেখে আমার তাই মনে হয়েছে। এটা আমাদের সমাজেরই একটা প্রতিচ্ছবি। যেখানে মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য আরেকজনকে প্রতারণা করতে এক মাত্রও দ্বিধা করে না।

ওয়েবসিরিজটি 1940 এর কলকাতার রেডলাইট এলাকা হীরামণ্ডিকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। সেই সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই জটিল ছিল। এবং এই জটিলতার সাথে জড়িয়ে আছে হীরামণ্ডির গল্প।

ওয়েব সিরিজটির মূল চরিত্র চন্দ্রমুখী একজন তাওয়াইফ। সে প্রেমে পড়ে জলদি নেতা জোহরা মিয়ার সাথে। তবে জোহরা মিয়ার ইতিমধ্যেই স্ত্রী আছে। তাওয়াও সত্যিই অনেক ভালোবাসে জোহরা মিয়াকে। তাই সে কোনরকম ব্যাপার না করে জোহরা মিয়াকে তার স্ত্রীর কাছে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়।

কিন্তু জোহরা মিয়া কি সত্যিই তাওয়াকে ভালোবাসে? নাকি শুধু শারীরিক সম্পর্কের জন্য তার সাথে আছে?

এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ওয়েব সিরিজটি দেখায় প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, এবং সমাজের নিষ্ঠুর বাস্তবতা।

ওয়েব সিরিজটির গল্প খুবই সুন্দর। চরিত্রগুলোও খুবই ভালোভাবে তৈরি করা হয়েছে। তবে ওয়েব সিরিজটি কখনো কখনো খুবই ধীর গতিতে এগোয়। এবং কিছু দৃশ্য অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘ।

তবে সবকিছুর পরেও ওয়েব সিরিজটি দেখার মত। কারণ এটি আমাদের সমাজের একটি প্রতিচ্ছবি দেখায়।

তারকা: 3.5/5

আরো পড়ুন: