হিরোশিমা দিবস




আমাদের বিশ্বে, যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতির কথা আমাদের মনে করিয়ে দিতে ৬ আগস্টকে হিরোশিমা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ দিনটি জাপানের হিরোশিমা শহরের উপর ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট প্রথম পারমাণবিক বোমা ফেলা হওয়ার স্মৃতিচারণ করে।

সেই বিধ্বংসী ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে এক লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং পরবর্তীতে আরও লক্ষাধিক মানুষ রেডিয়েশনের কারণে মারা যায়। হিরোশিমার ধ্বংসস্তূপ হল একটি হৃদয়বিদারক সাক্ষ্য যে যুদ্ধের জন্য কোন ন্যায্যতা থাকতে পারে না।

এই দিনটি শুধু একটি স্মরণসভা নয়, এটি একটি সতর্কবার্তাও। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে পারমাণবিক অস্ত্র কতটা শক্তিশালী এবং এগুলির ব্যবহারের ফলাফল কতটা মারাত্মক হতে পারে।

হিরোশিমা দিবস হল একটি দিন শান্তির জন্য প্রার্থনা করার, শান্তিতে একসাথে বসবাসের প্রতিশ্রুতি নেওয়ার এবং সকল রকম সহিংসতা ও যুদ্ধকে প্রত্যাখ্যান করার।

হিরোশিমার ভয়ঙ্কর বিধ্বংসের চিত্রগুলি আমাদের সবাইকে যুদ্ধের সত্যিকারের মূল্যের কথা মনে করিয়ে দেয়।

আমাদের কখনই এই ভয়াবহ ভুলটি আবার করার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। আমাদের শান্তি ও সহযোগিতার জন্য কাজ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কখনই এই জাতীয় আর কোনো ট্র্যাজেডির শিকার না হয়।

আমাদের শান্তি এবং সহযোগিতা গড়ে তুলতে হবে।
  • আমাদের চিন্তা করে দেখতে হবে যে আমাদের বিশ্বকে আরও সহনশীল এবং সহানুভূতিশীল স্থানে কীভাবে পরিণত করা যায়।
  • আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে যে আমরা সকলেই একই মানব পরিবারের সদস্য।
  • হিরোশিমা দিবস একটি স্মৃতিচারণের দিন, প্রতিফলনের দিন এবং আমাদের পৃথিবীকে ভবিষ্যতের জন্য আরও ভালো জায়গায় পরিণত করার প্রতিশ্রুতি নেওয়ার দিন।

    সহিংসতা ও যুদ্ধকে "না" বলুন। শান্তি ও সহযোগিতা বেছে নিন।