২১ অগাস্ট ভারত বন্ধ ২০২৪ঃ শিক্ষকদের দাবিদাওয়া কী?




তারিকের বিষয়টা ভাল না লাগলেও সে আজ সকালে টিভি খুলে দেখে, তার প্রিয় শিক্ষককে বন্ধের ঘোষণা দিতে হয়েছে। তারিকের খুব মন খারাপ হয়ে যায়। মার্চ মাস থেকেই শুরু হয়েছে অসময়ে বন্ধের ঘোষণা। টাটকা সবজি না পাওয়া বা ট্রেন দেরি হওয়ায় বন্ধের কথা শোনা গেলেও এবার শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বন্ধের ডাক। এটা কী ভালো লক্ষণ নয়? সকালে স্কুল যাওয়ার আগে তারিক অসময়ে বন্ধের কারণগুলি নিয়ে ভাবতে লাগলো।
আসলেই কী কারণে শিক্ষকরা এত বার বন্ধ ঘোষণা করছেন? শিক্ষকরা এতদিন কোনও দাবি তো তুলতে পারেননি। কেনই বা এবার এত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠলেন? হাতের কাছে থাকা খবরের কাগজ খুলে দেখলো তারিক। খবরের কাগজে ছাপা আছে, শিক্ষকদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবিদাওয়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। সরকারের তরফে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না। তাই বে gezwungen হয়ে এই বন্ধের ডাক দিয়েছেন শিক্ষক সংগঠনগুলি।
শিক্ষকদের দাবি কী কী?
  • বেতন বৃদ্ধি।
  • কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সমান মহার্ঘ ভাতা।
  • রেটেড পেমেন্ট নীতির রদ।
  • পরিবহণ ও চিকিৎসা भत्ता বৃদ্ধি।
  • পেনশন সুবিধার বৃদ্ধি।

তারিকের মনে অনেক প্রশ্ন উঠছে। কেনই বা সরকার শিক্ষকদের দাবি মেনে নেবে না? শিক্ষকদের দাবিটাও কি অন্যায্য? শিক্ষকদের বন্ধের ডাকের ফলে তারিকের স্কুল কয়েকদিন বন্ধ থাকবে। তারিক খুশি হলেও সমস্যা বুঝতে পারছে। সকালে খবরের কাগজ পড়ে একটা কথা তারিকের মনে হয়েছে৷
একদিনের বন্ধে স্কুলের পড়ার ক্ষতি পূরণ করা যাবে না। কিন্তু শিক্ষকদের সমস্যা সমাধান হলে একদিনের বন্ধে যা ক্ষতি হবে তার চেয়ে অনেক বেশি ফায়দা হবে দেশের ভবিষ্যতের জন্য।
এরপর তারিক প্রেরণা পেলো৷ সে লিখতে বসলো এটা একটি প্রতিবাদ চিঠি।
"শিক্ষক শিক্ষা দিয়ে একটা সমাজকে গড়ে তোলে। সবার কাছে তাদের আগে সম্মান জানানো উচিত। আমি সরকারের কাছে আবেদন করি, শিক্ষকদের দাবি আজই মেনে নিন। শিক্ষকদের বন্ধের ডাক প্রত্যাহার করুন। আমাদের শিক্ষকদের দাবি আজই মেনে নিন," তারিক লিখে গেল।
তারিক তার চিঠিটিকে খামে ভরে ডাকঘরে জমা করলো। তার বিশ্বাস, তার চিঠি দেখলেই সরকারি কর্তারা তাদের ভুল বুঝতে পারবেন।