ஒலிம்பிக்ஸ் - এই শব্দটিই উচ্চারণ করলেই আমাদের মনে আসে প্রতিযোগিতা, সীমাহীন উচ্ছ্বাস আর রংবেরঙের অংশগ্রহণকারী। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্পোর্টিং ইভেন্ট হিসেবে খ্যাত, ஒলিম্পিক গেমস বিভিন্ন দেশের অ্যাথলিটদের একত্র জড়ো করে তাদের দক্ষতা, শক্তি এবং সহনশীলতার পরীক্ষা করতে।
প্রাচীন গ্রীসের স্পার্টাতে খ্রিস্টপূর্ব 8 শতকে সর্বপ্রথম অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়। তখন থেকেই এই গেমসটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং শান্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত এই গেমসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের থাকা সবচেয়ে উচ্চদক্ষ অ্যাথলিটরা অংশগ্রহণ করে তাদের মধ্যে সেরা হওয়ার জন্য লড়াই করে।
গেমসটির ইতিহাসে অনেক দারুণ মুহূর্ত রয়েছে, উত্তেজনার শিহরণ দিয়েছে এমন জয়, এবং প্রতিযোগিতার সত্যিকার অর্থকে ধারণ করেছে এমন রোমাঞ্চকর মুহূর্ত। 1936 সালের বার্লিন গেমসে আফ্রিকান-আমেরিকান রানার জেসি ওয়েনসের নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয় অলিম্পিক ইতিহাসের সবচেয়ে আইকনিক মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি। একইভাবে, 1960 সালের রোম গেমসে আবে বেবের চার স্বর্ণপদক জয় করাও অনুপ্রেরণাদায়ক জয়ের একটি উদাহরণ।
ফুটবল থেকে জিমন্যাস্টিক্স, সাঁতার থেকে টেনিস, ছয়টি বিস্তৃত ক্যাটাগরিতে বিস্তৃত বিভিন্ন ইভেন্টসমূহের সাথে ওলিম্পিক গেমসে এমন কিছু আছে যা প্রত্যেকের জন্য আছে। এই ইভেন্টগুলি অ্যাথলিটদের তাদের শারীরিক সীমা পরীক্ষা করতে এবং বিশ্বের সেরা হিসেবে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করার সুযোগ দেয়।
কিন্তু ওলিম্পিক গেমস শুধুমাত্র প্রতিযোগিতা এবং পদক জয়ের চেয়ে বেশি কিছু। এটি বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষদের একত্রিত করে, তাদের জোড়ে, তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ দেয়। গেমসের সময় অংশগ্রহণকারী দেশগুলির পতাকাগুলি একসাথে উত্তোলন করা এবং আনন্দ ও ভ্রাতৃত্বের আবহে পুরো স্টেডিয়াম গানে মুখরিত হওয়ার চেয়ে আন্তর্জাতিক একতার অন্য কোনও দৃশ্য আরও সুন্দর হতে পারে না।
এছাড়াও, ওলিম্পিক গেমসটি একতা এবং শান্তির বার্তা ছড়ানোর একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। গেমসের সময়, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয় এবং সকল দেশ মতভেদ ভুলে এই বৃহৎ আন্তর্জাতিক উৎসবে একসাথে অংশগ্রহণ করে।
যখন আমরা ওলিম্পিকের কথা বলি, তখন আমাদের অবশ্যই যাদের জন্য এই সব কিছু সম্ভব হচ্ছে, সেই অ্যাথলিটদের কথা বলতে হবে। তারা কয়েক বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে, ত্যাগ করে নিজেদের সীমাকে ধাক্কা দেয়। তাদের দৃঢ় সংকল্প এবং অনুপ্রেরণাদায়ী গল্পগুলি আমাদের জীবনে বাধা বিপত্তি অতিক্রম করার দৃঢ়তা দেয় এবং নিজেদের স্বপ্নকে অনুসরণ করার উৎসাহ দেয়।
অলিম্পিক গেমসের প্রভাব শুধুমাত্র অ্যাথলিটদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি আমাদের সমাজ এবং সংস্কৃতির উপরও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। গেমসটি বিভিন্নতা এবং অন্তর্ভুক্তির বার্তা দেয়, এবং এটি আমাদের অন্যদের সাথে সহানুভূতিশীল ও সম্মানজনকভাবে আচরণ করার গুরুত্ব সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়।
ওলিম্পিক গেমস, অতএব, শুধুমাত্র প্রতিযোগিতা এবং ক্রীড়ার উৎসব নয়। এটি আন্তর্জাতিক একতার উৎসব, শান্তির প্রতীক এবং অনুপ্রেরণার উৎস। আমাদের সকলের জন্য গেমসের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং আশা-আকাঙ্ক্ষাকে আলিঙ্গন করা এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সম্প্রীতি গড়ে তোলার জন্য এর শক্তিকে কাজে লাগানো জরুরি।
এবারের 2024 প্যারিস গেমসে অ্যাথলিটদের সর্বোচ্চ সাফল্য কামনা করি। আসুন আমরা এই গেমসটিকে জয়, একতা এবং আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্বের উদযাপন হিসাবে স্মরণ করি।